শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক তার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, ৭টি অত্যাধুনিক ডিভাইস, ৫টি ডিভাইস রিসিভার, ২৩টি মোবাইল ফোন ও ছয়টি উত্তরপত্র জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাত নয়টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার উত্তর পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ডিভাইসগুলো এনেছিলেন তারা। এ ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর পৌঁছানোর চুক্তিতে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকাও নিয়েছে এ সদস্যরা।
বরগুনা পৌর শহরের ব্রাঞ্চ রোড এলাকা থেকে আটক, মাহবুব বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী রাত থেকেই অভিযান শুরু করেন পুলিশ। পরদিন শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বরগুনার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মূলহোতা হুমায়ুন ও তার দুই সহযোগী এবং বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্য একটি চক্রের প্রধান নাজমা বেগমসহ ১২ জনকে আটক করা হয়।
এ চক্রে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদুজ জামান বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল ২০১৮
আরএ