বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে তাকে ক্যান্টিন থেকেই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। আমিনুরের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা দায়ের হয় এবং শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
শিশুটির স্বজন ও ফমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশুটির মা ফমেক হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টিনে আসেন তার মা। শিশুটির মা নিয়মিত কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় ক্যান্টিনে লোকজন ছিলো না। এসময় বিদ্যুৎও চলে যায়। এই সুযোগে আমিনুর শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। তখন শিশুটির চিৎকারে ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কাসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে আমিনুর পালানো চেষ্টা করেন। তবে আশপাশের লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খবিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শিশুটিকে লেবার ওয়ার্ডে (গাইনি বিভাগে) ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, কলেজ ক্যান্টিনে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় শিশুটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্যান্টিনের পরিচালক আমিনুরকে আটক করি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, রাতেই মামলা রেকর্ড হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
ওএইচ/
