বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফেনী শহরের উত্তর বিরিঞ্চি এলাকায় রাশেদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকার ইলিয়াস মেম্বার বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে মহিউদ্দিন রাশেদ (৩৪) জীবিকার তাগিদে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরবে যান।
এ খবর পেয়ে রাশেদর মা কুলফুরের নেছা অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে তাকে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান তিনি স্ট্রোক করেছেন।
এ ঘটনায় নিহত রাশেদের স্ত্রী শিখা মজুমদার তিন সন্তানকে নিয়ে এখন রয়েছেন গভীর অনিশ্চয়তায়। একেতো স্বামী হারানোর শোক। তার উপর সন্তানদেও ভবিষ্যতের চিন্তা। শোকে যেন পাথর হয়ে রয়েছেন শিখা। কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি।
রাশেদের বাবা রফিকুল ইসলাম বার্ধক্য জনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। এখন গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে রাশেদের পুরো পরিবার।
রাশেদের মা বাংলানিউজকে বলেন, ‘সবাইকে সুখে রাখতে ছেলে বিদেশ গিয়েছিল। এখনতো সব শেষ হয়ে গেলো। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ ছিলো সবার ছোট। এমন হবে জানলে ছেলেকে কখনোই বিদেশ পাঠাইতাম না’।
নিহত রাশেদের মতদেহটি যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয়, সেজন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন রাশেদের বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা শিখা মজুমদার।
এদিকে সৌদি সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারকে অনিশ্চয়তায়র হাত থেকে রাশেদের পরিবারকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন জানান নিহতের শাশুড়ি রীণা মজুমদার।
সৌদি আরবের হাইল জেলার হোলাইফা শহরে মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রাশেদসহ ৭ বাংলাদেশি নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এসএইচডি/জিপি