ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘সকল প্রকার দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
‘সকল প্রকার দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে’ দুদক কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা সভা।

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তিসহ সব গোয়েন্দা টুলস ব্যবহার করে ঘরে-বাইরে সকল প্রকার দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় গোয়েন্দা শাখা দুর্নীতিবাজদের পাশাপাশি নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্যও সংগ্রহ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে কমিশনের সকল সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকগণ তাদের বিগত বছরের সব কার্যক্রম কমিশনের সামনে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্তের গুণগতমান এমন হতে হবে যাতে প্রতিটি মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা যায়।

কথিত পলাতক আসামিদের পরিসংখ্যান দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আপনার বিভাগের দুদকের মামলার অনেক আসামিই আইন-আদালতে আত্মসমর্পণ না করে, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে? আপনাদের দায়িত্ব কি? আপনাদের পেছনে রাষ্ট্রের ব্যয়িত অর্থের মূল্য থাকলে, হয়তো এভাবে আসামিরা ঘুরে বেড়াতে পারত না। যেকোনো বিষয়ে কমিশন সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে তা বাস্তবায়নে এত বিলম্ব কেন?

তিনি বলেন, এখন থেকে মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে এজাহারের কপি কমিশনের আইন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বরাবর পাঠাতে হবে, যাতে কমিশন মামলা দায়ের পরবর্তী সকল প্রকার আইনানুগ প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে মনিটরিং করতে পারে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিশনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। এ প্রতারক চক্রের সদস্যরা কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে। তাই এ বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়েও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দুদকের গোয়েন্দা শাখা কেবল দুর্নীতিবাজদের পেছনেই গোয়েন্দাগিরি করবে না, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়েও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করবে।  

সভায় দুদকের কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে হলে সকলকে দায়িত্ব নিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, কমিশন অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তের গুণগত পরিবর্তন আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন- দুদকের মহাপরিচালক (আইন) মো. মঈদুল ইসলাম, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. আতিকুর রহমান খান, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. জয়নুল বারী, পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।