বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নাকানো ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের সামনে তারা কর্মবিরতি পালন করে।
দফায় দফায় বৈঠক শেষে ঈশ্বরদী ইপিজেডের বেপজার জিএম নাহিদ মুন্সি শ্রমিকদের চাপের মুখে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাকানো ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের দোভাষী জুয়েলকে সাতদিনের জন্য অপসারণ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাকানো ইন্টারন্যাশনালের আইটি ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের দোভাষী জুয়েলের দুর্নীতির তথ্য জাপানি কর্তৃপক্ষ (জিএম প্রধান) কাজী হারাসানের কাছে জানানোর অপরাধে শ্রমিকদের হুমকি-ধামকি ও চাকরিচ্যুত করেন জুয়েল। এ সময় তিনি প্রধান সুপারভাইজার জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হত্যারও হুমকি দেন। পরে আরো কয়েকজন শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শ্রমিকরা। সকালে তারা দোভাষী জুয়েলের অপসারণ দাবিতে ইপিজেডে এসে কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম শহিদ বাংলানিউজকে জানান, বিক্ষোভরত শ্রমিকরা দোভাষী জুয়েলের অপসারণ না করা পর্যন্ত কাজে যোগ দেবেন না বলে আল্টিমেটাম দেন। পরে ঈশ্বরদী ইপিজেডের বেপজার জিএম নাহিদ মুন্সি সাতদিনের জন্য জুয়েলকে অপসারণ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
আরবি/