বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর আসে শহরের ছিলিমপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় এডি হামলার আসামি নূর আরাফাত শুভসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী এলাকায় গোপন বৈঠক করছে।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শুভ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে শুভ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলে অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রমজান নামে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হন।
পরে আসামি শুভকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর আহত কনস্টেবল রমজানকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নূর আরাফাত শুভ বগুড়া সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের এম এ হান্নানের ছেলে। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শাহজাহান কবিরকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী শাজেনুর আলম বাদী হয়ে ওই দিন রাতে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে শহরের মালগ্রাম এলাকার রমজান আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৬), ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে জীবন (২১), একই এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০) ও মিলুকে গ্রেফতার করে।
পর দিন শুক্রবার (৩০ মার্চ) ভোরে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তের ডাঙাপাড়ার সাতকুড়ি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোস্তাকিম রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে মামলার তদন্তভার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা মোস্তাকিমকে পাঁচদিন ও তার চার সহযোগীকে চারদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বর্তমানে ওই পাঁচ আসামি কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এমবিএইচ/ওএইচ/