বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে জাগীর পুলিশ চেকপোস্ট থেকে তাদের আটক করা হয়।
সুমাইয়া কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের খাজানগর গ্রামের মো. কোরবান আলীর ছেলে।
আটকেরা হলেন- সুমাইয়ার প্রতিবেশী মৃত সাদেক আলীর ছেলে আজাদ শেখ (৩০) এবং সিরাজ শেখ (২৮) এবং বাগেরহাট জেলার কুমারখালী উপজেলার কামলা গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (২৬)।
শিশু সুমাইয়ার চাচা শুকুর আলী বাংলানিউজকে জানান, অপহরণকারী আজাদ ও সিরাজের বাড়ি তাদের পাশের গ্রামে। রুবেল অপরিচিত। তবে আজাদ ও রুবেল দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকেন। সুমাইয়ার বাবা কুরবান আলী ব্যবসায়ী এবং মা শ্যামলী বেগম গৃহিণী। বুধবার বিকেল (১৮ এপ্রিল) থেকে সুমাইয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে এ ঘটনায় কুষ্টিয়া সদর থানায় অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জে সুমাইয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে সংবাদ পেয়ে তারা মানিকগঞ্জ সদর থানায় আসেন বলে জানান তিনি।
সুমাইয়াকে উদ্ধার করা মাইক্রোবাসের চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বুধবার মধ্যরাতে আরিচা থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় আজাদ তার ওই গাড়িটি ৫শ’ টাকায় ভাড়া করেন। ঢাকার মধুবাগ এলাকায় যাওয়ার জন্য আরিচা থেকে মধ্যরাতে রওনা হয়ে মানিকগঞ্জের জাগীর এলাকায় তার গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় ওই গাড়ি থেকে শিশু সুমাইয়াকে উদ্ধার করে অপহরণকারীদের আটক করা হয় বলেও জানান ওই গাড়ির চালক।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সুমাইয়াকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে বড় অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হয়েছিল বলে সুমাইয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮/আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা
আরআর