ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

৩২ ধারা নিয়ে সম্পাদকদের দাবি যৌক্তিক: আইনমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
৩২ ধারা নিয়ে সম্পাদকদের দাবি যৌক্তিক: আইনমন্ত্রী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা:  প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারাসহ কয়েকটি বিষয়ে সম্পাদক পরিষদের উত্থাপিত দাবি ‘যৌক্তিক’ বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের আপত্তিগুলোর অনেকাংশেই যৌক্তিক মনে করায় আমরা এই আলোচনাটি আইসিটি মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে করতে চাই।  

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একথা জানান।

 

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৯, ৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে চলতি মাসের ২২ তারিখে আইসিটি মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকে সম্পাদক পরিষদকে আমন্ত্রণ জানানোর একটি প্রস্তাব আমি রাখবো। যাতে সম্পাদক পরিষদ তাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারেন।  

আনিসুল হক বলেন, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন। আমরা সেগুলো নিয়ে যে আলোচনা করেছি, তা অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ৮, ২১, ২৫, ২৯, ৩২ ও ৪৩ সর্ম্পকে সম্পাদক পরিষদ নিজেদের কনসার্ন আমাদের কাছে তুলে ধরেন।  

‘এই আইনটি বর্তমানে আইসিটি মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আছে। ২২ এপ্রিল আইনটি নিয়ে আলোচনার পর একটি নির্ধারিত দিনে সম্পাদক পরিষদ তাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে সংসদীয় কমিটির কাছে দেবেন। ’ 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়। সেক্ষেত্রে যদি এই আইনে কোনো ত্রুটি থেকে থাকে বা দুর্বলতা থাকে, তাহলে সেগুলো যেন অপসারণ করা যায়, সংশোধন করা যায়, সেভাবেই আইনটি প্রণয়ন করা হবে।

‘সেজন্য সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে সংসদীয় কমিটির আলোচনা হবে। এই আলোচনার পর আমরা আশা করছি সম্পাদক পরিষদের যে আপত্তি (কনসার্ন) আছে আমরা সেগুলো দূর করতে পারবো। ’ 

আরও পড়ুন>>
** 
সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, আজকের আলোচনায় আমাদের কনসার্ন ছিল প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ এবং ৪৩ ধারা নিয়ে। আমরা মনে করছি এগুলো বাকস্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থি। আমরা বাংলাদেশে যে স্বাধীন সাংবাদিকতা করার গর্ববোধ করি, সেটি খুব গভীরভাবে ব্যাহত হবে। আমরা এসব বিষয়ে আইনমন্ত্রী ও আইসিটি মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে বলেছি। তারা এটি সানন্দে গ্রহণ করেছেন।  

‘আমরা বলেছি সম্মিলিতভাবে কাজ করে আইনটি করা হলে সত্যিকার অর্থে সাইবার ক্রাইমই প্রতিহত হবে। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা খর্ব হবে না। আমরা এটিও বিশ্বাস করি সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশে প্রয়োজন। ’

বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিচার ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, যুগান্তর সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল আলম, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮/আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা 
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।