বুধবার (১৮ এপ্রিল) সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের আদালতে গ্রেফতারকৃত শাকিল আহমদ নিজেকে জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের রোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
আদালতে শাকিলের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিহত সোহাগ, শাকিল এবং হত্যায় সংশ্লিষ্ট অপর তিনজন একইসঙ্গে চলাফেরা করতো এবং গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করতো।
আদালতে জবানবন্দিতে সোহাগ জানায়, কিছুদিন আগে একটি চুরির মামলায় সোহাগ কারাগারে ছিলো। বেরিয়ে এসে সোহাগ অন্যদের বলে, আমি তোদের সঙ্গে থাকি, তোদের কাজ করি, তোরা আমাকে কারাগারে দেখতে গেলি না? এ নিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় সবাই।
এ কারণে চারজন মিলে গত ১৩ এপ্রিল রাতে সোহাগকে মাদক সেবনের জন্য ডেকে নিয়ে জবাই করে।
বুধবার সন্ধ্যায় জবানবন্দি শেষে শাকিল আহমদকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
এরআগে একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় ঘাসিটুলা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শাকিল ঘাসিটুলা বি-ব্লকের ৭০ নং বাসার মঈন উদ্দিনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের নাম জবানবন্দিতে বললেও গ্রেফতারের স্বার্থে আপাতত প্রকাশ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন ওসি গৌসুল হোসেন।
গত ১৩ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন সোহাগ। সোমবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে নগরের ১০ ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা এলজিইডি কার্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষা একটি গর্ত থেকে বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
সোহাগ নগরের মজুমদারপাড়ায় ময়না মিয়ার কলোনিতে মা ফুলবানুর সঙ্গে থাকতো। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার ওলিবাজারে। সে কাজিরবাজারে মৎস্য আড়তে দিনমজুরের কাজ করতো।
এ ঘটনায় নিহতের মা ফুলবানু বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আটকের পর এ মামলায় শাকিলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এনইউ/জেডএস