ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাহাজ উদ্ধার অনিশ্চিত, মোংলা থানার তদন্ত শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
জাহাজ উদ্ধার অনিশ্চিত, মোংলা থানার তদন্ত শুরু ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই জাহাজ

বাগেরহাট: সুন্দরবনের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টে ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই জাহাজ উদ্ধারের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 

রোববার (১৫ এপ্রিল) ডুবে যায় জাহাজটি। এরপর চারদিনেও মালিকপক্ষ উদ্ধার কাজ শুরু করেনি।

বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও উদ্ধার কাজ শুরু না করায় মালিক পক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ।

মালিক পক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ খুলনা-এর কাছে জাহাজের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ।

অপরদিকে জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করা তিনটি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত শুরু করেছে মোংলা থানা পুলিশ।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহামুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. শাহীন কবির তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজ কর্তৃপক্ষের আচরণে পরিলক্ষিত হয় যে ডুবে যাওয়া জাহাজের ফিটনেস ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তারা বন বিভাগকে জাহাজের কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারেনি। জাহাজ উদ্ধারের ব্যাপারেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই।

তিনি আরও বলেন, জাহাজ কর্তৃপক্ষ বন বিভাগকে কোন সহযোগিতা করেনি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে পেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ খুলনা-এর কাছে বুধবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জাহাজ সম্পর্কিত কাগজপত্র বা তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জাহাজডুবির ঘটনায় বন বিভাগ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও লাইটার জাহাজ মালিকপক্ষের করা তিনটি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত শুরু করেছি। মোংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন মণ্ডলকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ডায়েরিতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের কয়লাডুবিতে এক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা এবং বনবিভাগ ও জাহাজের মালিকপক্ষ শুধু দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে।

জাহাজ উদ্ধারের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চেয়ে এমভি বিলাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) লালন হাওলাদারকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোনটি কেটে দেন।

এর আগে রোববার ভোরে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি জাহাজ ডুবে যায়। তবে এসময় জাহাজে থাকা নাবিকসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।