ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন  রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউন ব্যাক। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় বলে জানিয়েছেন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউন ব্যাক। 

তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার চায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

দেশে ফিরে রোহিঙ্গারা যাতে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে সে দিকটিও খেয়াল রাখছে ট্রাম্প সরকার।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্রাউন ব্যাক এসব কথা বলেন।  

কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রিত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে একান্তে আলাপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছে। তারা সেখানে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।  

‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সেখানকার রাখাইন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাচাঁতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি অসংখ্য তরুণ-তরুণী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ হত্যার শিকার হয়েছেন। ধষর্ণের শিকার হয়েছেন কিশোরী ও তরুণী এবং গৃহবধূরা। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্যাম ব্রাউন ব্যাক বলেন, মিয়ানমারে ফিরে যেতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে আগে মিয়ানমার সরকারকে সেখানে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদের লুণ্ঠিত বাড়ি-ঘর, ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এসব সুবিধা দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা নিজ ইচ্ছাতেই রাখাইনে ফেরত যাবে।  

রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট।  

তিনি বলেন, সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে পাঁচ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবার মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি সম্প্রতি সম্পাদিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় পড়ে না।  

এর আগে বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউন ব্যাক সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় যান। সেখানকার কোনারপাড়া নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে সেখান থেকে বিকেলে যান কুতুপালং মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।  

গতবছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হলে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। সেখান থেকে আসা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।  

লুণ্ঠন, হত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়অ রোহিঙ্গারা। সরকারি হিসেবে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
টিটি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।