নিহতদের মধ্যে প্রাথমিক তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মরহুম আবদুল হকের ছেলে এমরানুল হক সোহেল (৩৪), ইমামুল হক মুন্না (২২) ও গুণবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল (৩০)।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে স্বজনদের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের হাইল জেলার হোলাইফা শহর এলাকায় চাকরি করতেন এমরানুল হক, মুন্না ও সোহেল। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) রাতে খাবার রান্না ও খাওয়া শেষে একই কক্ষে সাত বাংলাদেশি ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার ভোরে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়।
সাতজনের মধ্যে চৌদ্দগ্রামের চারজন ছাড়া নোয়াখালীর দুইজন ও ফেনীর একজন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে দুপুর থেকেই তাদের মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনদের কান্না, আহাজারিতে আশপাশের এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
সরেজমিন বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের দুই সহোদর এমরানুল হক সোহেল ও ইমামুল হক মুন্নার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মা সেলিনা বেগম মূর্চ্ছা যাচ্ছেন। তিনি বলছেন, আমি এখন কারে নিয়ে বাঁচবো। দুই ছেলের স্বপ্ন ছিলো নতুন ঘরের কাজ শেষ হলে তারা বাড়ি আসবে। মায়ের এ অবস্থায় তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা যেন সবাই হারিয়ে ফেলেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল জানান, এ বিষয়ে আমাকে এখনো কেউ অবহিত করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
জেডএস