বুধবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনকালে কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
একটি দৈনিকে রাজীবের দুর্ঘটনার জন্য সড়ক ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা তো সড়ক ব্যবস্থাপনার কারণে হয়নি।
আসন্ন খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন তো বলেছে স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দরকার নেই। আর তারা (বিএনপি) যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তো এমন সেনা মোতায়েন চায়নি।
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের একটি বাসের টক্করে দুই বাসের চাপায় পড়ে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সরকারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিলো। কিন্তু গত সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা রাজীব তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালে মাকে এবং অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালে বাবাকে হারান। এরপর মতিঝিলে খালা জাহানারা বেগমের বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। মহাখালীর তিতুমীর কলেজে স্নাতকে ভর্তি হওয়ার পর যাত্রাবাড়ীতে মেসে ভাড়ায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন রাজীব। পাশাপাশি তিনি একটি কম্পিউটারের দোকানেও কাজ করছিলেন। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট দুই ভাইয়ের খরচও চালাতে হতো রাজীবকে।
মৃত্যুর পর মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাদজোহর হাইকোর্ট মসজিদে রাজীবের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। রাতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি বাউফলের দাসপাড়ায় পৌঁছায়। সকাল ৯টায় বাউফল সদরের পাবলিক মাঠে রাজীবের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর নানা-নানীর কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় রাজীবকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এইচএ/