রাজীবের ছোট দুই ভাইকে লোকজন এসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন কিন্তু তাদের ভাইহারানো আহাজারি আর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। বাবা-মাকে হারানোর পর একমাত্র অভিভাবক বড় ভাইকে হারিয়ে দিশেহারা রাজীবের ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আবদুল্লাহ।
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারিয়েছিলেন তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন। এরপর ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আবদুল্লাহকে নিয়ে জীবনযুদ্ধে নেমেছিলেন তিনি।
রাজীবের মামা জাহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জোহর নামাজের পর হাইকোর্ট মসজিদে রাজীবের প্রথম জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে রওয়ানা দিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১২টা ৫০ মিনিটে রাজীবের মরদেহ নিয়ে তারা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফলে নিয়ে পৌছান।
তিনি জানান, বুধবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বাউফল সদরের পাবলিক মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় দাস পাড়ায় গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে নানা-নানী ও মায়ের কবরের পাশেই দাফন সম্পন্ন করা হবে রাজীবের।
বাংলাদেশ সময় : ০৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমএস/এমজেএফ