গেল বন্যায় নওগাঁর ১১ উপজেলার ১৭টি পয়েন্ট ভেঙে পানিবন্দী হয়েছিল প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। আর আশ্রয়হীন হয় এক লাখ পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এরই মধ্যে যে কয়েকটি পয়েন্ট মেরামত করেছে, তার মধ্যে ব্যবহৃত মাটির ৭০ শতাংশই বালু মিশ্রিত বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাই নির্মিত বাঁধগুলো বৃষ্টির পানিতে এখনই ভেঙে যাচ্ছে।
বাঁধ মেরামত কাজের মান নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান। এবিষয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন,
বাঁধটি যে মানের নির্মিত হওয়ার কথা ছিল, সেটি হয়নি। খুব অবহেলায় বাঁধটি নির্মাণ করা হয়ছে।
প্রসাদপুর গ্রামের আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আত্রাই নদীর সুজন-সখী ঘাটের বাঁধটি পুরোটাই বালু দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। যা অল্প বৃষ্টিতেই মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। তাই আমাদের দাবি, বৃষ্টি মৌসুম আসার আগে বাঁধগুলো যেনো ভালোভাবে মেরামত করা হয়।
এদিকে, বাঁধ নির্মাণে ব্যবহৃত মাটির ৭০ শতাংশই বালু মিশ্রিত এ অভিযোগটি অসত্য দাবি করে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাঁধের ১৭টি পয়েন্টের মধ্যে ১৩টি মেরামত করেছি আমরা। এতে অল্প কিছু পরিমাণ বালু মেশানো হয়ে থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বাঁধ মেরামতের জন্য এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি। এ কাজে প্রায় ৪৯ কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। যা এখনো পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেম সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
টিএ/