ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রামের বাড়িতে রাজীবের মরদেহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
গ্রামের বাড়িতে রাজীবের মরদেহ

পটুয়াখালী: কলেজ ছাত্র রাজীব হোসেনের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছেন স্বজনরা।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজীবের মামা জাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, দিনগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে রাজীবের মরদেহ নিয়ে তারা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফলে পৌঁছান।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বাউফল সদরের পাবলিক মাঠে দ্বিতীয় জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সকাল পৌনে ১০টায় দাসপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়ে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এরআগে, মঙ্গলবার দুপুরে জোহর নামাজের পর হাইকোর্ট মসজিদে রাজীবের প্রথম জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে মাওয়া হয়ে সড়কপথে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রাজীবের মরদেহ নিয়ে রওয়ানা দেয় স্বজনরা। অনেক চেষ্টার পরও বাঁচানো গেলো না কলেজছাত্র রাজীব হোসেনকে। দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা রাজীব মারা গেছেন।  

গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের বাস টক্কর দিতে গেলে বাস দু’টির চিপায় পড়ে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের। সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এ ছাত্রকে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরদিন ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সরকারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন আইসিইউর দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।

বাউফল উপজেলার বাসিন্দা রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে থাকাকালে মাকে এবং অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালে বাবাকে হারান। এরপর মতিঝিলে খালা জাহানারা বেগমের বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। মহাখালীর তিতুমীর কলেজে স্নাতকে ভর্তি হওয়ার পর যাত্রাবাড়ীতে মেসে ভাড়ায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন রাজীব। এর পাশাপাশি তিনি একটি কম্পিউটারের দোকানেও কাজ করছিলেন। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট দুই ভাইয়ের খরচও চালাতে হতো রাজীবকে।
রাজীবের হাত বিছিন্ন করে ফেলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪ এপ্রিল বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ (৩৫) ও স্বজন বাসের চালক খোরশেদকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়।  

৫ এপ্রিল দু’জনকে আদালতে তোলা হলে তাদের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। ৮ এপ্রিল দু’জনকে পাঠানো হয় কারাগারে। সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুই আসামির পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলেও নামঞ্জুর করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।