ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ঝুঁকি নিয়ে বেইলি ব্রিজ পারাপার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
লক্ষ্মীপুরে ঝুঁকি নিয়ে বেইলি ব্রিজ পারাপার জরাজীর্ণ বেইলি ব্রীজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার তেরবেকি বেইলি ব্রিজের ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন টানা ব্যবহারে ব্রিজের শীটগুলোতে মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়ায় ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সদর উপজেলার চররমনী, শাকচর ও চরুরহিতা ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের সহজ যোগাযোগের মাধ্যম লক্ষ্মীপুর তেরবেকি সড়ক। ওই সড়কের রহমতখালী খালের ওপর এ বেইলি ব্রিজ।

এটি পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। ব্রিজটি পার হতে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অন্ধকার নামলেই ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঘটে দুর্ঘটনাও।

ভাঙা ব্রিজের গর্তে পথচারীর পা আটকে যায়গত রোববার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভাঙা ব্রিজের গর্তে পথচারীর পা আটকে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এছাড়াও প্রতিদিনই যাত্রীবাহী রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও পথচারীরা গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

জানা যায়, মজু চৌধুরীর হাট থেকে লক্ষ্মীপুর সড়কটি সদর উপজেলার চররমনী, শাকচর ও চরুরহিতা ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। প্রায় দেড়যুগ আগে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থে এটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিনই কয়েকশ যানবাহন এ রুটে যাতায়াত করে। বেইলি ব্রিজটি দিয়ে এসব যানবাহন চলাচল করে। প্রায় ৫ বছর আগ থেকে ব্রিজের শীটগুলো মরিচা ধরে ভেঙে পড়ে। এছাড়া শীটগুলো সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। কয়েকবার ব্রিজটি মেরামত করেও কোনো লাভ হয়নি। সম্প্রতি কয়েকজন পথচারী ও মাছ ব্যবসায়ী পড়ে আহত হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লামচরী এলাকার মধ্যবয়সী এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হতে হয়। কোনো সময় সন্তানদের নিয়ে খালে পড়ে যাই সে ভয়ে, দোয়া-দুরুদ পড়ে ব্রীজ পার হই।

ওই এলাকার বাসিন্দা তারেক উদ্দিন জাবেদ বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় সংসদ ও পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীরা ব্রিজটি নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর জনগুরুত্বপূর্ণ এ দাবিটি তারা যেন ভুলেই গেছেন। অস্থায়ী এ ব্রিজটি দেড়যুগ আগে নির্মাণ করা হলেও এখন জরাজীর্ণ। যে কোনো সময় ধসে পড়ে প্রাণহানীর আশংকতা রয়েছে।

এ ব্যাপারে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ব্রিজটিতে ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হয়। ১-২ বছর পর-পর ব্রিজটি মেরামত করা হলেও ঝুঁকি থেকে যায়। তবে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে জনগণের উপকার হতো।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ব্রিজটি কিছুদিন পরপর মেরামত করা হচ্ছে। সেখানে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য নতুন প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হবে।  

প্রকল্প অনুমোদন পেয়ে বরাদ্ধ পেলে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘন্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এসআর/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।