মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এসময় সদর উপজেলা, কালকিনি, রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে গাছ উপড়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, দুপুরে কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম, গোপালপুর, সিডিখান, শশীকর, মোল্লার হাট ও পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে মোল্লারহাট ফাযিল মাদ্রাসা, শশীকর কলেজ, শশীকর গ্রামের প্রবীর বিশ্বাসের বসতঘর, পাগল মিস্ত্রির বসতঘর, সিডিখান আওয়ামী লীগের অফিস ও জগদীস তালুকদারের বসতবাড়িসহ প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদিকে উপজেলার প্রধান সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে শতবর্ষী গাছ উপড়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানায়, প্রবল বাতাসের কারণে উপজেলার শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রবাসের টিনের চালা ভেঙে পড়ে। এ সময় আহত হয় ছাত্রবাসের ১০ ছাত্র। তাদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে জেলার রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি, সদর উপজেলার খোয়াজপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে গাছপালা ভেঙে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আঞ্চলিক সড়কে। এদিকে ঝড়ের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে ঝড়ে কালকিনির বিভিন্ন স্থানে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া একটি ছাত্রাবাসের টিনের চালা ভেঙে ১০ ছাত্র আহত হয়েছে।
কালকিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে আমরা থাকবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
আরবি/