ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩ দিনেও শুরু হয়নি ডুবে যাওয়া জাহাজের উদ্ধার কাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
৩ দিনেও শুরু হয়নি ডুবে যাওয়া জাহাজের উদ্ধার কাজ

বাগেরহাট: সুন্দরবনের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টে ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই জাহাজের উদ্ধার কাজ তিনদিনেও শুরু হয়নি।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি বিলাসের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার উদ্ধার তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিকে ঘটনাস্থলের পানির গুণগতমান আগের মতো আছে বলে মতামত দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

ডুবে যাওয়া জাহাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কাছে এখনও জমা দেওয়া হয়নি। এ কারণে বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. কামরুল হাসান এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেননি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)  মাহামুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, কার্গোটি ডুবে যাওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইলেও তারা আজও দিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কার্গোটি ফিটনেস বিহীন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নাই তাই কর্তৃপক্ষ টালবাহানা শুরু করেছেন। আমরা বিআইডাব্লিউটিএ-এর মাধ্যমে ওই জাহাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার জন্য বুধবার (১৮ এপ্রিল) চিঠি পাঠাবো। এরপরও যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাই তাহলে দু-একদিনের মধ্যেই কার্গো কর্তৃপক্ষের নামে ক্ষতিপূরণ মামলা করা হবে।

এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. কামরুজ্জামান  সরকার জানিয়েছেন, সোমবার (১৬ এপ্রিল) ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা (পানি) পরীক্ষা নিরিক্ষা করে আমরা দেখেছি পানির গুণগতমান (দ্রবীভূত অক্সিজেন-ডিও এবং পিএইচ) আগের মতো আছে। ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। তবে কয়লা অপসারণ শুরু হলে পুনরায় নমুনা (পানি) সংগ্রহ করা হবে।

এমভি বিলাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) লালন হাওলাদার বলেন, পানির ভেতরের কাজ খুবই কঠিন। উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মোংলাতে সহজলভ্য নয়। আমরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি। একটি উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে বুধবার সকালে চুক্তি হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার দুপুরের জোয়ারের পরে ভাটার সময় উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, ডুবে যাওয়া নৌযানটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতাসম্পন্ন বার্জ ও অন্যান্য মালপত্র সংগ্রহ করে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করার  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইটার কার্গোটির মালিকপক্ষ নির্দেশনা  উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ কার্গোটির  মালিকানা বাতিল করে উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে ‘নো লস, নো প্রোফিট’ চুক্তির ভিত্তিতে এটি অপসারণ করা হবে। আর  লাইটার কার্গোটি বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবে যাওয়ায় নৌযান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটছে না।

এছাড়া জাহাজ থেকে যাতে কয়লা ছড়িয়ে পড়তে না পারে  সেজন্য বন্দরের নিজস্ব বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ পশুর ক্লিনার-১ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোববার ভোরে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া পয়েন্টে ৭৭৫ মেট্রিকটনকয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার ভ্যাসেল ডুবে  যায়। এসময় জাহাজে থাকা নাবিকসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।