একদিন নাইম অন্য তিন অপহরণকারী সদস্যদের বলেন, সায়ানের বিদেশি কুকুরের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। কিন্তু কুকুর পালন তার পরিবারের অপছন্দ থাকায় সায়ান কুকুর পালতে পারতো না।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৪) সিও খন্দকার লুৎফর কবির এসব তথ্য জানান।
লুৎফর কবির বলেন, গত ২৭ মার্চ রাজধানীর পল্লবী থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সায়ানকে অপহরণ করে চক্রটি। পরে সোমবার (১৬ এপ্রিল) র্যাব -৪ এর এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহরণের ২০দিন পর মুক্তিপণের চৌদ্দ লাখ আটাশ হাজার টাকাসহ অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি দামী ফোনসহ অপহরণে ব্যবহৃত একটি বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আটক অপহরণকারী চক্রের অন্য তিন সদস্যরা হলেন- নাদিম হোসেন (১৯), মো. আসিফ (১৯) ও মো.সজীব খান (২০)।
তিনি বলেন, প্রতিদিন বিকেলে সায়ান বাইসাইকেল নিয়ে বাসার সামনে খেলতে যেতো এবং সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরে আসতো। কিন্তু ২৭ মার্চ সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সায়ান বাসায় না ফেরায় গৃহশিক্ষক পড়াতে আসলে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে সায়ানের বাবা সাইদুর রহমানের মোবাইল ফোনে সন্ধ্যায় ৬টা ৩০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কল আসে। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা সায়ানকে জীবিত পেতে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে সায়ানের চাচা মো. হাবিবুর রহমান রুপনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করে। এরপর র্যাব-৪ অপহরণকারী চক্রটিকে আটক করতে জোর তৎপরতা চালায়। কিন্তু একপর্যায়ে সায়ানের বাবা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ১৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। পরে র্যাব-৪ বিষয়টি সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অপহরণকারী চক্রের চার সদস্য খুব সহজে বড় লোক হওয়ার লক্ষ্যে এ অপহরণ করে। তারা সায়ানের পরিবার সম্পর্কে আগে থেকে জানতো। তাই তারা কুকুরের প্রতি সায়ানের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে খেলার মাঠ থেকে তাকে অপহরণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমএসি/আরআইএস/