তারা হলেন- লিজা আক্তার (২৫) ও তার দুই বছর বয়সী সন্তান ইয়াসির।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা অভিমুখী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে সন্তানকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন লিজা আক্তার।
গফরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুল আলম খোকনের রবাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সন্তানকে নিয়ে লিজা আক্তার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫ বছর আগে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল এলাকার রাজিব ঢালী’র সঙ্গে বিয়ে হয় স্থানীয় গফরগাঁও ইউনিয়নের মির্ধা বাড়ির শাহজাহান মির্ধার মেয়ে লিজা আক্তারের। তাদের সংসারে ইয়াসিন ঢালী নামে দুই বছর বয়সী এক শিশু সন্তান ছিলো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায়ই শাশুড়ি’র সঙ্গে লিজা আক্তারের ঝগড়া হতো। সোমবারও একমাত্র সন্তান ইয়াসিন ঢালী’র হাতকাটা নিয়ে শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে শিশু সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন লিজা আক্তার।
এ বিষয়ে স্থানীয় গফরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম খোকন বাংলানিউজকে জানান, মেয়ের বাবা শাহজাহান আমাদের জানিয়েছেন তার মেয়ের মানসিক সমস্যা ছিলো। হয়তো এ কারণেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
একই রকম কথা জানান স্থানীয় সালটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হক ঢালী। তিনি জানান, মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো বলে জেনেছি। পারিবারিক কলহ থেকেই মেয়েটি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমএএম/আরআইএস/জেডএস