সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
হৃদয় মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পেয়ারকুল গ্রামের মো. আলমের ছেলে।
তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে আসে শুভ নামের বন্ধু। সে বাংলানিউজকে জানায়, সন্ধ্যার পরে তাদের বাসার পাশেই খালেকুজ্জামান স্কুল গলির জসিম উদ্দিনের নির্মাণাধীন ছয়তলা বাড়ির ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলো তারা। এ সময় সিগারেট খেয়ে অংশবিশেষ নিক্ষেপ করলে পাশের এক নারীর গায়ে লাগে।
হৃদয়কে ধরার জন্য নির্মাণাধীন ওই বাসায় লোক পাঠান সেই নারী। কিন্তু হৃদয় দৌড়ে ওই বাসার ছাদ থেকে অন্য বাসার ছাদে লাফিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পড়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
আর হাফিজুর গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্ব কুমরনই গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় রাজমিস্ত্রী হাফিজুর পরিবার নিয়ে নামা শ্যামপুর মাদবর বাজার এলাকায় থাকছিলেন।
তাকে ঢামেকে নিয়ে আসেন পথচারী মোহাম্মদ হাসান। তিনি বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যায় জুরাইনের বউ বাজারের রাস্তায় আহতাবস্থায় পড়ে ছিলেন হাফিজুর। তৎক্ষণাৎ তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হলেও চিকিৎসক হাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো যানবাহনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ময়না-তদন্তের জন্য দু’টি মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় দু’টি ঘটনা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/