ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মঙ্গলবারও জাহাজটির উদ্ধার কাজ শুরু না হলে ব্যবস্থা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
মঙ্গলবারও জাহাজটির উদ্ধার কাজ শুরু না হলে ব্যবস্থা ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই জাহাজ

বাগেরহাট: সুন্দরবনের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া পয়েন্টে ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই জাহাজের অবস্থান নিশ্চিত হলেও এখনো শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ। মালিকপক্ষ মঙ্গলবারও (১৭ এপ্রিল) যদি জাহাজটির উদ্ধার কাজ শুরু না করে তাহলে ব্যবস্থা নেবে বন বিভাগ।  

এদিকে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ জাহাজটি শনাক্ত করে ঘটনাস্থলে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছে। এ ঘটনায় গঠিত পরিবেশ অধিদপ্তরের তিন সদস্যের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহামুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীর হারবাড়িয়ায় ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় এমভি-বিলাস নামে একটি জাহাজ। খবর পেয়ে আমি জাহাজ কর্তৃপক্ষ সাহারা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা উদ্ধারকারী দলসহ আসতে চায়। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাহারা এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে কেউ হারবাড়িয়ায় আসেনি। মঙ্গলবার যদি তারা উদ্ধার কাজ শুরু না করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে জাহাজ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুল হাসান।

তিনি আরও বলেন, জোয়ারের সময় জাহাজটি প্রায় ১২ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে থাকে। আমি সাহারা এন্টারপ্রাইজ কর্তপক্ষকে পুরো বিষয় জানিয়েছি, যাতে তারা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবল নিয়ে আসতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সিনিয়র কেমিস্ট মো. কামরুজ্জামান সরকার, নমুনা সংগ্রহকারী শেখ মো. মোস্তফা, পরিবেশ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. এমদাদুল হক ও আমি সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে এসেছি। সেখান থেকে নমুনা হিসেবে পানি সংগ্রহ করেছি। পানি পরীক্ষার পর জানা যাবে এ কয়লা (সালফার) পরিবেশের জন্য কতোটা ক্ষতিকর। তবে নমুনা সংগ্রহ করার সময় নদীতে জোয়ার থাকায় জাহাজে থাকা কয়লা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

এমভি বিলাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) লালন হাওলাদার বলেন, আমরা মঙ্গলবার থেকে কার্গোটি উদ্ধার কাজ শুরু করবো। নদীর মধ্যে কার্গোতে কয়লা এমনভাবে রয়েছে যাতে নদীতে ছড়িযে পড়ার শঙ্কা নেই।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, ডুবে যাওয়া নৌযানটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা সম্পন্ন বার্জ ও অন্যান্য মালপত্র সংগ্রহ করে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লাইটার কার্গোটির মালিকপক্ষ নির্দেশনা উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ কার্গোটির মালিকানা বাতিল করে উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে ‘নো লস, নো প্রোফিট’ চুক্তির ভিত্তিতে এটি অপসারণ করা হবে। আর লাইটার কার্গোটি বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে ডোবায় নৌযান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটছে না। এছাড়া জাহাজ থেকে যাতে কয়লা ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য বন্দরের নিজস্ব বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ পশুর ক্লিনার-১ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোববার ভোরে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া পয়েন্টে ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার ভ্যাসেল ডুবে যায়। এসময় জাহাজে থাকা নাবিকসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

বাংলাদেশ সময়:  ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।