ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বৈশাখী মেলার নাচের ঢেউয়ে মুগ্ধ দর্শক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
বৈশাখী মেলার নাচের ঢেউয়ে মুগ্ধ দর্শক ঘুঙুরের ছন্দে মন মাতানো নাচের ঢেউয়ে। ছবি: মাঞ্জারুল ইসলাম

খুলনা: ‘ফুল গাছটি লাগাইছিলাম ধুলা মাটি দিয়া রে. সেই ফুল ফুটিয়া রইলো কদম দৈড়ার মাজারে’, ‘বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক এলো রে পহেলা বৈশাখ’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি’ এসব গানের তালে তাল মিলিয়ে একে একে নেচে চলছে নৃত্য শিল্পীরা। ঘুঙুরের ছন্দে মন মাতানো নাচের ঢেউয়ে মুগ্ধ হাজার হাজার দর্শক।

সোমবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনার জাতিসংঘ শিশু পার্কের চারদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ দিনে এমন মোহনীয় ও মন মাতানো নাচের তালে মুগ্ধ হতে দেখা যায় দর্শকদের।

আব্বাসউদ্দীন একাডেমি, নৃত্যবিহার, নৃত্যমঞ্জুরী, ইত্যাদি, উৎসব একাডেমির পরিবেশনা নাচ-গানসহ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গত শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া চার দিনের বৈশাখী মেলা ও চৈত্র সংক্রান্তির এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আব্বাসউদ্দীন একাডেমি। মিডিয়া পার্টার হিসেবে রয়েছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
বৈশাখী মেলা ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  ছবি: মাঞ্জারুল ইসলাম
এদিকে বৈশাখী মেলার শেষদিন লোকজ পণ্য দিয়ে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিদের জমজমাট বিকিকিনি হয়েছে। বিশেষ করে তাল পাখা, মাটির পুতুল, বাঁশের বাঁশি, রঙিন বেলুন, ঢোল, ডুগডুগি, ফিতা, পুঁতির মালা, কাচের চুড়ি, মাটির তৈরি নকশি আঁকা শখের হাঁড়, বাঁশ-বেতের তৈরি ঝুড়ি,  কুলা, চালুনি, লোহার দা-বঁটি, কাস্তে, কোদাল, শাবল, খন্তা, খুন্তি, কাঠের আসবাবপত্রসহ প্লাস্টিক সামগ্রী।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার প্রায় প্রতিটি দোকানে উপচে পড়া ভিড়। মহাব্যস্ততায় সময় কাটলেও ক্লান্তি নেই বিক্রেতাদের মধ্যে। হাসিমুখেই ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা।

মেলায় আসা মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাণের টানে বৈশাখী মেলায় এসেছি। এখানে এসে একদিকে যেমন মেলার বিভিন্ন পণ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। অন্যদিকে মঞ্চে শিল্পীদের নাচ-গানে মুগ্ধ হয়েছি।

জাতিসংঘ শিশু পার্ক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বৈশাখী মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হাসান আহমেদ মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বর্ষকে বরণের পাশাপাশি বৈশাখের উৎসবকে পরিপূর্ণতা দেয় বৈশাখী মেলা। এই মেলা বাঙালির শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য। যে কারণে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পার্কে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে ছিল লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় আগতরা নাচ-গান দেখে মুগ্ধ হয়েছে।
ঘুঙুরের ছন্দে মন মাতানো নাচের ঢেউয়ে।  ছবি: মাঞ্জারুল ইসলাম
মেলার আয়োজক আব্বাস উদ্দীন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, বৈশাখী মেলা বাঙ্গালি সংস্কৃতির একটি খুবই পুরনো অনুষঙ্গ। ইতিমধ্যে তা আমাদের অন্যতম লোক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও চারদিন ব্যাপী মেলায় জনস্রোত দেখা গেছে।  

প্রতিদিন বিকেলে মনোজ্ঞ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এমআরএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।