এভাবে নগরে আনাচে-কানাচে রাস্তায় হয়েছে অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড, হিউম্যান হলার ও লাইটেস স্ট্যান্ড। এগুলো উচ্ছেদে উদ্যোগ নেই পুলিশ ও সিসিকের।
তবে অবৈধভাবে চলাচলকারী অটোরিকশার হিসাব করা হয় না উল্লেখ করে বিআরটিএ সিলেটের উপ-পরিচালক কেএম মাহবুব বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে সিলেটে প্রায় ২২ হাজার রেজিস্ট্রেশনভুক্ত অটোরিকশা (থ্রি হুইলার) রয়েছে।
নগরে যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা ও অবৈধ স্ট্যান্ডের ব্যাপারে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, শহরের বাইরে থেকে আসা গাড়িগুলো কোর্ট পয়েন্টসহ একাধিক পয়েন্টে যাত্রী উঠানামা করায়। সে কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। তবে সিসিক থেকে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড দিলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলেন তিনি। সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা বাংলানিউজকে বলেন, ফুটপাত উচ্ছেদ ও যানজট নিরসনে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে আদালতে দরখাস্ত মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ ঘটনায় অনেকে জেলও খেটেছেন। কিন্তু কাঙ্খিত ফলাফল এখনো আসেনি। যে কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে পুলিশ প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নগর ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নিকোলিন চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, নগর এলাকায় কোনো স্ট্যান্ড বৈধ না। কিন্তু চালকরা বলে সিসিক তাদের মৌখিক অনুমতি দিয়ে রেখেছে। এরপরও অবৈধ স্ট্যান্ড ও রাস্তায় বিশৃঙ্খলভাবে যাত্রী উঠানো-নামানো বন্ধে অভিযান চালানো হয়। এ সমস্যা দূর করতে যতদ্রুত সম্ভব একটি জায়গায় নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড প্রয়োজন। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটে এখন সিএনজি অটোরিকশা আধিক্য বেড়েছে। নগরে কত সংখ্যক গাড়ি চলাচল করতে পারে-এনিয়ে বিআরটিএসহ আরটিসির সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডের জায়গা দিয়ে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে ভূমিকা নেবে সিসিক। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনার জন্য নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে সিসিকের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নগর ঘুরে দেখা যায়, সুরমা মার্কেট, ক্বীন ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্ত, তালতলা, কাজিরবাজার সেতুর দুই প্রবেশদ্বার, বন্দরবাজার, সুবহানিঘাট, নাইওরপুল, রিকাবিবাজার, মেডিকেল, আম্বরখানা, চৌহাট্টা ভিআইপি সড়কে, মাজার গেইট, এয়ারপোর্ট রোড, দর্শন দেউড়ি, মদিনা মার্কেট, উপশহর পয়েন্ট, শিবগঞ্জ, টিলাগড় এমনকি নগরীর ধোপাদিঘীর পাড় খোদ অর্থমন্ত্রীর বাসা হাফিজ কমপ্লেক্সের বিপরীতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড।
এসব স্থানে হালকা যানবাহনগুলোর বিশৃঙ্খল চলাচল ও যাত্রী উঠা নামা করানোয় প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এ কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারিরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এনইউ/এএটি