সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সীমা খাতুন ওই মহল্লার খবির উদ্দিনের মেয়ে ও রায়গঞ্জ উপজেলার ভুইয়াগাঁতী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর বাবা খবির উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, ৭/৮ বছর আগে রায়গঞ্জ উপজেলার ভুইয়াগাঁতী গ্রামের জলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সীমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
শনিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সীমাসহ তার আরও দু মেয়ে ও জামাইদের দাওয়াত করে বাসায় নিয়ে আসেন খবির উদ্দিন। রোববার (১৫ এপ্রিল) দুই মেয়ে-জামাই চলে গেলেও সীমা তার স্বামীসহ থেকে যায়। সোমবার সকালে সীমার মা-বাবা হাসপাতালে যান। এ অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাক তাদের দেড় বছরের শিশু সন্তানের সামনেই তাকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। নিহতের গলায় নখের আঁচড়ের দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই কীভাবে মৃত্যু হয়েছে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
আরএ