রোববার (১৫ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টায় গুলিবিদ্ধ নীরবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার সময় নদীপথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ৮টার দিকে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নিহত নীরবের চাচা ও শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম নান্টু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নীরব হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মিরাজ উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্র। আহতরা হলেন- পৌর আওয়ামী লীগের নেতা মিরাজ উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম নান্টু, শাহাদাত হোসেনসহ ৫ জন।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম নান্টু বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সমর্থিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি মহিউদ্দিন মুহিন, গুল আজাদ, আবু তাহের, মোশফেকুর রহমান জিন্নুর, বেচু, গালিব, শাহাদাত, জাহাঙ্গীরসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী গত কয়েকদিন ধরে আমার ও আমার ভাই মিরাজ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এর জের ধরে ওই সন্ত্রাসীরা রোববার রাত ৮টার দিকে সঙ্গবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে আমার ভাই মিরাজ উদ্দিন ও তার ছেলে নীরব উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। আমিসহ আরো ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় মিরাজ উদ্দিন ও তার ছেলে নীরবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে গুলিবিদ্ধ নীরবকে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার সময় নদীপথে রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান শিকদার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
আরএ