ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চোরাচালান বন্ধে বিজিবি-বিএসএফ'র যৌথ কার্যক্রম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
চোরাচালান বন্ধে বিজিবি-বিএসএফ'র যৌথ কার্যক্রম বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে আসা ভারতীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে জানাচ্ছে এক বিজিবি কর্মকর্তা/ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বন্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দু'টি বাহিনীই বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার নিদর্শনস্বরূপ বিজিবির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন ভারতের ১১ সাংবাদিক।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিজিবি'র ব্যাটালিয়ন-৪ এর আওতাধীন ফেনী সীমান্ত এলাকার মজুমদারহাট ও পরশুরাম বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) পরিদর্শন করেন তারা।

এ সময় ভারতীয় সাংবাদিকদের বিজিবির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন ব্যাটালিয়ন-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সহিদুর রহমান।

বিজিবি জানায়, ফেনী সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত হত্যা নেই। এ এলাকার প্রধান সমস্যা চোরাকারবারী, তবে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

চোরাই পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগই ভারত থেকে দেশে আসছে। অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে চোরাই পণ্য যাওয়ার হার অনেকটাই কম।

ভারত থেকে চোরাইপথে আসা পণ্যে মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ফেনসিডিল, বিয়ার, বিদেশি মদ, ওষুধ, শাড়ি, কসমেটিকস, মসলা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গার্মেন্টস পণ্য ও মাছ।

এ বিষয়ে শহিদুর রহমান বাংলনিউজকে বলেন, ফেনী সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ১৭টি এবং বিএসএফ'র ২৭টি বিওপি রয়েছে। এ সীমান্ত এলাকার প্রধান সমস্যা চোরাকারবারী বন্ধে আমরা উভয় দেশই বদ্ধপরিকর।

দুই বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির উদাহরণস্বরূপ সীমান্ত এলাকায় যৌথ কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সীমান্তে প্রতিনিয়ত যৌথভাবে টহল, স্পেশাল ড্রাইভ, পিলার চেকিং হচ্ছে। প্রতি মাসে যৌথ টহলের সংখ্যা প্রায় ২০-২৫টি। আমরা উভয় দেশই চোরাকারবারী বন্ধে বদ্ধপরিকর। যৌথ কর্মকাণ্ডের ফলাফলও পাচ্ছি আমরা।

গত ১ বছরে বিজিবি কর্তৃক প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের চোরাই পণ্য আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো এবং যৌথ উদ্যোগের ফলে বর্তমানে চোরাকারবারী অনেকাংশে কমে এসেছে।

এদিকে, মজুমদারহাট বিওপি সংলগ্ন বিলোনিয়া স্থলবন্দর রয়েছে, যা চলতি মাসেই পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণার কথা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ বন্দর দিয়ে ইট, পাথর, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রফতানি হয়, আর আমদানি করা হয় মসলা। বেশ কয়েকবছর ধরে এ চেকপোস্ট হয়ে মানুষের আসা-যাওয়া চালু হয়েছে।

ভারতীয় সাংবাদিকরা সোমবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম ও পরদিন মঙ্গলবার কক্সবাজার রিজিওন পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
পিএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ