রোববার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী থেকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বগুড়ায় আসেন। বিকেল নাগাদ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতরের গঠন করা তদন্ত দলের প্রধান হলেন- খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবু সাইদ। তদন্ত দলের অপর সদস্যরা হলেন- প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন এবং রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম।
সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির প্রধান আবু সাইদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিন আমরা বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে আরো কয়েকদিন এখানে অবস্থান করতে হবে আমাদের। তদন্তের স্বার্থে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল, পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও ঘটনা নিয়ে কথা বলব আমরা।
এর আগে বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শাহজাহান কবিরকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী শাজেনুর আলম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) রাতে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩০ মার্চ) ভোরে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তের ডাঙাপাড়ার সাতকুড়ি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোস্তাকিম রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) অভিযান চালিয়ে শহরের মালগ্রাম এলাকার রমজান আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৬), ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে জীবন (২১), একই এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০) ও মিলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে মামলার তদন্তভার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা মোস্তাকিমকে পাঁচদিন ও তার চার সহযোগীকে চারদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বর্তমানে ওই পাঁচ আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এমবিএইচ/টিএ