রোববার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ৫টার পর থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট কামাল উদ্দিন এ অভিযান চালান।
এতে চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে। রাজশাহীর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা জরুরি ওষুধ পাচ্ছেন না। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
জরুরি ওষুধের জন্য কেউ কেউ লক্ষ্মীপুর থেকে সাহেব বাজার ও কেউ সাহেব বাজার থেকে লক্ষ্মীপুর ছুটছেন। কিন্তু দোকানগুলো বন্ধ থাকায় কোথাও মিলছিল না ওষুধ। ফলে রোগীর স্বজনদের মাঝে চরম ক্ষোভও দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে মহানগরীর লক্ষ্মীপুরে থাকা পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এলাকায় সিদ্দিকা ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধ, মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ, ট্রের্ড লাইসেন্সের মেয়াদোর্ত্তীণ থাকার অপরাধে দোকান মালিকের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মীপুর এলাকার সব ওষুধের দোকান ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেন। ফলে আর কোনো ওষুধের দোকানে অভিযান না করেই ফিরে যেতে হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে।
মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, একটি ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর ঘটনায় মহানগরীর লক্ষ্মীপুরের সব দোকান মালিক একযোগে ধর্মঘট শুরু করেছেন।
তবে দোকান মালিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। সমঝোতা হলেই ব্যবসায়ীরা দোকান খুলবেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এসএস/এসআরএস