রোববার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) কাশেম।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাশেম জানান, শনিবার (১৪ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
পুলিশ জানায়, শেফালীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মোমেনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছে। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করে শেফালী ও তার প্রেমিক মোমেন। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শেফালী তার প্রেমিক মোমেনকে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার দুই সন্তান হৃদয় ও শিহাবকে কাঁথায় পেঁচিয়ে ম্যাচের আগুন ধরিয়ে দেন।
আশপাশের লোকজন সন্তানদের চিৎকারে বেরিয়ে আসে। কিন্তু অগ্নিদগ্ধ হৃদয় (৯) এর মধ্যে মারা যায়। আশপাশের লোকজন আরেক সন্তান অগ্নিদগ্ধ শিহাবকে (৭) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
হৃদয় ওই এলাকার লিবিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে। সে ৩৫ নম্বর বাড়ৈইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
ওএইচ/