ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঘুষসহ ধরা পড়া নৌপরিবহনের প্রধান প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
ঘুষসহ ধরা পড়া নৌপরিবহনের প্রধান প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত ঘুষের টাকাসহ নৌ-অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হককে গ্রেফতার করে দুদক। ছবি: দুদকের সৌজন্যে

ঢাকা: ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে দুদকের হাতে গ্রেফতার নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব) এস এম নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নাজমুল হককে গ্রেফতার করে।

এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারের তারিখ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।         

বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে ঘুষ গ্রহণের সময় নাজমুল হককে হাতেনাতে গ্রেফতার করে দুদক পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল।

সেসময় নাসিম আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, মেসার্স সৈয়দ শিপিং মাইন্ড এর একটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য মোট ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী। ঘুষের প্রথম কিস্তির পাঁচ লাখ টাকা নাজমুল হক আগেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কিস্তির জন্য সম্প্রতি পীড়াপীড়ি শুরু করেন। এরপর মেসার্স সৈয়দ শিপিং মাইন্ড কর্তৃপক্ষ ১২ এপ্রিল সকালে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য ওই রেস্তোরাঁয় অভিযানের পরিকল্পনা করি।

গ্রেফতারের সময় নাজমুল হকের কাছ থেকে এক হাজার টাকার নোটের পাঁচটি বান্ডিলে মোট পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। নাসিম আনোয়ার বলেন, ঘুষ লেনদেন হওয়ার আগে আমরা নাজমুল হকের টেবিলের চারপাশে অবস্থান নিয়েছিলাম। টাকার বান্ডিলগুলো হস্তান্তর হওয়ার পর তিনি রেস্তোরাঁর টেবিলের ওপর হাত রেখে লুকানোর চেষ্টা করছিলেন। ঠিক এই সময়েই আমরা গিয়ে তাকে গ্রেফতার করি।

দুদকের এই পরিচালকের ভাষ্যে, নাজমুল এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জাহাজের নকশা ও জাহাজ অনুমোদনের জন্য ১৫-২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন, এমন অভিযোগ দুদকে প্রায়ই আসতো। সবশেষ বৃহস্পতিবার তিনি সৈয়দ শিপিংয়ের এম ভি প্রিন্স অব সোহাগ নামের একটি জাহাজের নকশা অনুমোদন করতে এই ঘুষ নিচ্ছিলেন।

অবশ্য গ্রেফতারের পর প্রকৌশলী ড. এস এম নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমি নির্দোষ, আমি রেস্তোরাঁয় স্যুপ খাচ্ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। আমি কিছু জানি না।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই নিজ কার্যালয়ে বসে ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের হাতে গ্রেফতার হন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরেরই তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার এ কে এম ফখরুল ইসলাম। এরপর ২ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮/আপডেট ১৯০৩ ঘণ্টা
আরএম/এসএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad