রোববার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে 'ভিজিট বাংলাদেশ প্রোগ্রাম’ এর আওতায় সফররত ২৫ বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফিলিপাইন, ফ্রান্স, ইথিওপিয়া, ভারত, ব্রাজিল, তুরস্ক ও থাইল্যান্ডের সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সমালোচনা শুনতে আগ্রহী এবং সংশোধন করতে আগ্রহী। এখানে আমরা গণতন্ত্র অনুসরণ করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় খালেদা জিয়া ও বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটি নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত। তারা একটি অস্বাভাবিক সরকার তৈরির পাঁয়তারা করছে। যার জন্য তারা গণতন্ত্র সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা আজ পর্যন্ত তুলে ধরতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমি বিদেশি সাংবাদিকদের বলেছি, আপনারা আইন-কানুনগুলো দেখে আপনাদের সিদ্ধান্ত নেবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মোড় বদলকারী অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করার ফলে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। সম্পদের উন্নয়ন হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এই চমৎকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন হয়েছে সংবিধানের উপর আস্থা রাখার জন্য, চার নীতির উপর আস্থা রাখার জন্য।
মন্ত্রী বলেন, এই নয় বছরে সন্ত্রাসীরা, আগুন সন্ত্রাসীরা, সম্প্রদায়িক শক্তি এবং তার পৃষ্ঠপোষক বিএনপির অস্বাভাবিক, অগণতান্ত্রিক নাশকতা এবং অন্তর্ঘাতমূলক কাজের মধ্যে উন্নয়নের কাজটা এগিয়ে নিতে হয়েছে। তা না হলে বাংলাদেশ আরও উন্নত হতে পারতো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছি এবং উন্নয়ন সাধন করতে পেরেছি। নয় বছরে আমাদের সরকার বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক একটি আইনও তৈরি করেনি, বরঞ্চ গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার জন্য গণমাধ্যম, টিভি চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও ও এফএম রেডিও উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর
