ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেট বিভাগে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হচ্ছে হবিগঞ্জে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
সিলেট বিভাগে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হচ্ছে হবিগঞ্জে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

হবিগঞ্জ: মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। এখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি। কিন্তু সেগুলো সংগ্রহের কোনো উদ্যোগ ছিলো না। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও কোনো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হয়নি এ বিভাগে। অবশেষে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্যোগের ফলে হবিগঞ্জ শহরে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর সম্মানে হতে যাচ্ছে সিলেট বিভাগের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মানিক চৌধুরীর স্ত্রী রোকেয়া চৌধুরী।

সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আফরোজ বখত, নুর উদ্দিন বীর প্রতীক, মেঘনা রিভার ফোর্স কোম্পানি কমান্ডার ফজলুর রহমান চৌধুরী, এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মজিদ, বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন, জাতীয় জাদুঘরের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

এমপি কেয়া চৌধুরী পৈত্রিকভাবে পাওয়া জমি দান করলে সেখানে এ জাদুঘর নির্মাণ হচ্ছে।

এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জে কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর সম্মানে, নেত্রকোনায় কমরেড মনি সিংহের সম্মানে ও চট্টগ্রামের রাউজানে আব্দুল হক চৌধুরীর সম্মানে তিনটি জাদুঘর নির্মাণে ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন। এ টাকায় তিনটি জাদুঘর হবে। হবিগঞ্জের জাদুঘরের ভবনটি হবে চার তলা। এতে বিভিন্ন গ্যালারিতে মানিক চৌধুরীসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্মারক প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী মৃত্যুর আগে সিলেট বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি আঞ্চলিক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্থাপন করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। আগামী প্রজন্মকে জানাতে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণ করার জন্য তিনি একথা বলেছিলেন। তাই তার সন্তান হিসেবে তারই জমিতে এ জাদুঘর করার উদ্যোগ নেই। ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ জাদুঘর হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।