ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কচ্ছপ গতিতে চলছে মেরুল বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
কচ্ছপ গতিতে চলছে মেরুল বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ দুই বছর ধরে চলছে মেরুল বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দুই বছর ধরে কাজ চলছে মেরুল বাড্ডা ইউলুপের। ফলে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না হাজার হাজার মানুষের।

মঙ্গলবার (২০মার্চ) সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইউলুপ নির্মাণের এখনও অনেক কাজ বাকি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই একটি কাজের জন্য তাদেরকে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মৌচাক থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কটির নাম প্রগতি স্মরণি। রাজধানীর দক্ষিণ থেকে উত্তরে যেতে এই সড়কটি ব্যবহার করে হাজার হাজার যানবাহন। দীর্ঘ দুই বছর পুরো সড়কটি খানাখন্দে ভরা ছিল। সম্প্রতি সড়কটি কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে ধীর গতিতে চলা মেরুল বাড্ডার ইউলুপ নির্মাণ। ফলে রামপুরা ব্রিজ থেকে উত্তরে এবং মধ্যবাড্ডা থেকে দক্ষিণমুখী যানবাহন প্রতিনিয়ত যানজটে পড়ছে।

দক্ষিণ বাড্ডার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, রামপুরার ইউলুপটি এক বছর আগে চালু হলেও মেরুল বাড্ডার ইউলুপ নির্মাণ কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। ফলে জনগণের ভোগান্তি এখন চরমে।

হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জন্য এ ইউলুপটি (ইউ আকৃতির ফ্লাইওভার) নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর আগে কয়েক দফা নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, আবারও সময় বাড়ানো হয়েছে।
দুই বছর ধরে চলছে মেরুল বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ।  ছবি: বাংলানিউজ

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগে কাজ শেষ হচ্ছে না। কাজ শেষ করার জন্য ২০১৮’র জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও, সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে।    

তিনি আরও বলেন, রাজউকের এই প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন নির্মাণ করছে। আমরা শুধু (রাজউক) লিয়াজো করে থাকি।  

সরেজিমন দেখা যায়, দুই পাশে র‍্যাম্প নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাঝের অংশের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, ৮৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

নির্মাণ এলাকার সড়ক দীর্ঘদিন ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকার পর মাস খানেক আগে কার্পেটিং করা হয়েছে। তবে কিছু অংশ এখনও ভাঙা থাকায় গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।  

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রামপুরার ইউলুপটি চালু হওয়ায় সেখানে যানজট অনেকটা কমেছে। মেরুল বাড্ডার ইউলুপটি চালু হলে হাতিরঝিল থেকে আসা গাড়িগুলো ইউলুপের ওপর দিয়ে ঘুরে রামপুরার দিকে যেতে পারবে। ফলে হাতিরঝিল পয়েন্টে যানজট কমবে।

প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হলেও, ২/৩ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমএইচ/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।