ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে পেরেছি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
‘বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে পেরেছি’ গুলশান ২ নম্বরে একে আজাদের বাড়ির সামনে রাজউকের অভিযান নিয়ে কথা বলেন তার শ্যালক অভিনেতা শোয়েব। ছবি: শাকিল

ঢাকা: অনুমোদনহীন নকশায় বাড়ি তৈরির অভিযোগে হা-মীম গ্রুপের মালিক ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের বাড়ির অর্ধেক অংশ ভেঙে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে টানা দুপুর ১ টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। বাড়ির সামনের দিকের অংশ ভেঙে দেওয়ার পর দুপুরে খাবারের বিরতির কথা বলে তা বন্ধ করে দেয় রাজউক।

এরপর আর উচ্ছেদ অভিযান হয়নি।  

পরে বিকেলে ৪টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ৮৬ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িতে সকাল থেকে চালানো ওই অভিযান স্থগিত করেন রাজউকের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিউর রহমান।
 
গুলশান ২ নম্বরে একে আজাদের বাড়ি।  ছবি: শাকিলপরে এ কে আজাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তার শ্যালক মো. শোয়েবুল ইসলাম (অভিনেতা শোয়েব) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে হয়তো বা ভুল বোঝাবুঝি থেকে এটা হয়েছে। তারা (রাজউক) হয়তো জেনেছিল যে, আমাদের কাছে নকশা নেই। সে কারণে তারা এসে এটা ভেঙেছে। আমরা যখন দেখিয়েছি আমাদের কাছে ডকুমেন্ট আছে। তারপর তারা স্টপ করেছে এবং শেষ পর্যন্ত চলে গেছে। ’
 
তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি ভুল হয়েও থাকে তাহলে তো তারা ৭ দিন আগে নোটিশ দিতে পারতেন, তারা তো নোটিশ দেননি। এখন চাইলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে হ্যারেসমেন্ট করাই যায়। কিন্তু কেন কি কারণে হয়েছে জানি না। হয়তো বা ভুল বোঝাবুঝি থেকেই যা হওয়ার হয়েছে। কাগজপত্র দেখাতে পেরেছি বলেই চলে গেছে, আর আসবে না আশা করি। ’
 
‘রাজউক থেকে বলা হয়েছিল স্বাক্ষর করতে; আমি বলেছি আমার মালপত্র বাইরে রেখেছেন এইটা আমি বুঝে নিতে পারি। এই বলেই আমি স্বাক্ষর করেছি। তারা যদি ভাঙতোই তাহলে চলে গেলেন কেন? তারা তো ভেতরে টাচও করেনি। ’
এ কে আজাদের বাড়িতে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান
বাড়িটির বিষয়ে শোয়েব বলেন, স্বাধীনতার আগে ১৯৬৪ সালে এই বাড়িতে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছিল। স্কুল কর্তপক্ষের কাছ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে আজাদ সাহেব বাড়িটি কিনে নিয়েছেন। দেড় বিঘার প্লট, জায়গা ৩০ কাঠা।  
 
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শোয়েব বলেন, ‘বলার কিছু নাই, কি কারণে এবং কেন?  আমার তো ২০ তলা না, ভাড়াটিয়াও নাই নিজেরাই থাকি। মূল রাস্তা থেকে দূরে, আরো ৫০ বছর আগের নকশা। এই নকশা পেতে তো সময় লাগবে। নকশা চাইলে না দিতে পারলে ব্যবস্থা নিতে পারবে। ’
 
এদিকে রাজউকের ভূমি শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় গুলশানের ওই প্লট ১৯৬০ সালে মো. ইউনূস নামে এক ব্যক্তিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারপর ২০০৬ সালে হস্তান্তর সূত্রে মালিক হন এ কে আজাদ। তার আগে ওই প্লটের মালিকানা ছিল একটি বৃটিশ প্রতিষ্ঠানের হাতে। তখন ওই দোতলা ভবনে একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ছিল।

আরও পড়ুন>>
** 
এ কে আজাদের বাড়িতে রাজউকের অভিযান স্থগিত
 
বাড়ির মালিকানা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজউকের পরিচালক অলিউর রহমান বলেন, ‘বাড়ির মালিক কে তা আপনারা জানেন...। মালিক বিষয় নয়, আমরা দেখি যে ভবন রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী হয়েছে কি হয়নি। ’

এদিকে উচ্ছেদের আগে বাড়ির জিনিসপত্র ওই প্লটের ভেতরেই ফাঁকা জায়গায় রেখে দেওয়া হয়। বাড়ির সকল সার্ভিস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান স্থগিতের পর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চাওয়া হলেও দেয়নি রাজউক।
 
শোয়েবুল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদের পর এ কে আজাদ সাহেবের পরিবারের লোক হয়তো আমার বাড়িতেই থাকবেন; নয় তো অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থাকবেন। তাছাড়া কোথায় যাবেন? তার তো আর কোনো বাড়ি নেই।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad