ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফ্লাইট বিএস২১১: পলাশের মরদেহ বাড়িতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
ফ্লাইট বিএস২১১: পলাশের মরদেহ বাড়িতে মতিউর রহমান পলাশ (ফাইল ফটো)

ফেনী: নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আউরারখিল গ্রামের মতিউর রহমান পলাশের মরদেহ মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকালে নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।

 বগাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসহাক খোকন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৯ মার্চ) রাতে নিহত পলাশের বড় ভাই মোকছেদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাজধানীতে সব প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মধ্যরাতে পলাশের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।

পরে সকাল ১০টায় মীর বাড়ির সামনে তার চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার বিকেল ৪টা ৫মিনিটে পলাশসহ ২৩টি মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ কার্গো বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ওই ২৩ মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে নিহতদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পলাশের মরদেহ বুঝে নেন বড় ভাই মোকছেদুর রহমান।

পরে পলাশের মরদেহ তার কর্মস্থল রানা মোবাইলস লিমিটেডে নেওয়া হলে সেখানে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে নেপালের কাঠমান্ডুতে নিহতদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত পলাশ ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা পাস করে ঢাকায় একটি অটো মোবাইলস কোম্পানিতে কর্মরত ছিলো। কোম্পানির প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তার নেপাল যাওয়া। পলাশ আউরারখিল গ্রামের আমিন উল্যাহ মিয়ার ছোট ছেলে।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইউএস-বাংলার একটি প্লেন দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে চার ক্রুসহ ৪৯জন মারা যান। তাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ২৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসএইজডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।