সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নগরীর খড়বোনা নদীর ধার এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মেঘলা নগরীর মতিহার থানার চর কাজলা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় একবছর আগে খড়বোনা নদীর ধার এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে সোবহানের সঙ্গে মেঘলার বিয়ে হয়। বর্তনামে তাদের তিন মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সোবহান তার শাশুড়িকে ফোন দিয়ে মেঘলার আত্মহত্যার খবর দেয়। খবর পেয়ে মেঘলার মা, দুই বোন, ননদ ও ফুফাতো ভাইরা সোবহানের বাড়িতে গিয়ে দেখে মেঘলার মরদেহ নিজ শয়ন কক্ষে রাখা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর বোন চুমকি বেগম বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর আগেও মেঘলার ওপর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন একাধিকবার নির্যাতন চালিয়েছে। তাকে নির্যাতন করেই হত্যা করা হয়েছে।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে নিহত গৃহবধূ মেঘলার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মেঘলার মৃত্যর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হবে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে তখন এটিই হত্যা মামলায় রূপ নিবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এসএস/জিপি