ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফ্লাইট বিএস২১১: পরিবারের কাছে ২৩ মরদেহ হস্তান্তর

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
ফ্লাইট বিএস২১১: পরিবারের কাছে ২৩ মরদেহ হস্তান্তর আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে/ছবি- ডি এইচ বাদল

আর্মি স্টেডিয়াম থেকে: কাঠমাণ্ডুতে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের মরদেহ হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মরদেহগুলো এখন পরিবারের ব্যবস্থাপনায় দাফন করা হবে।

সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টা ০৫ মিনিটে নেপাল থেকে ২৩ জনের মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ প্লেন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। এরপর মরদেহবাহী কফিনগুলো নাম ধরে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে ঢোকানো হয়।

সেখান থেকে মরদেহগুলো দ্বিতীয় জানাজার জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। বিকেল ৫টা ৮মিনিটে মরদেহগুলো সেখানে পৌঁছানোর পর ৫টা ২৫মিনিটে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহতদের প্রথম ও বাংলাদেশে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন, চলছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া

আর্মি স্টেডিয়ামের মাঠে ফুল দিয়ে সাজানো মঞ্চে মরদেহগুলো রাখা হয়। সরকারের মন্ত্রী, সচিব, সেনাবাহিনীর ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, আত্মীয়-স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সংসদ সদস্যদের পক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

জানাজা শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের জন্য নেওয়া হচ্ছে মরদেহএর আগে বিকেল বিমানবন্দরে মরদেহগুলো পৌঁছলে সেগুলো গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।

সকালে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহতদের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে মরদেহগুলো ১০টার দিকে আনা হয়। এরপর মরদেহ ঢাকায় নিতে দুপুর ১২টার দিকে নামে বিমানবাহিনীর কার্গো এয়ারক্রাফট দু’টি। নামার আগে এয়ারক্রাফট দু'টিকে হেভি ট্রাফিকের কারণে ত্রিভুনের আকাশে ঘণ্টাখানেক চক্কর দিতে হয়।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে শনাক্ত করে ঢাকায় আনা হয়েছে এই ২৩ জনের মরদেহ।

এরা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

শনাক্ত না হওয়ায় আনা হয়নি পিয়াস রায়, নজরুল ইসলাম ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ।

দ্বিতীয় জানাজার জন্য ২৩ মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে

প্রাণোচ্ছল সেই তারা ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এমসি/এসএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।