ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বামী-মেয়ের মৃত্যু সংবাদ বিশ্বাস হচ্ছে না অ্যানির 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
স্বামী-মেয়ের মৃত্যু সংবাদ বিশ্বাস হচ্ছে না অ্যানির  আহত আলমুন নাহার অ্যানি। ছবিটি হাসপাতালে ভর্তির সময় তোলা

ঢাকা: পরিবার-পরিজনের সঙ্গে হিমালয় কন্যা নেপালে ঘুরতে গিয়ে স্বজন হারিয়ে দেশে ফিরেছেন গাজীপুরের আলমুন নাহার অ্যানি। প্লেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বেশ কিছুদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেলে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি। 

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুরের গ্রামের বাড়ি নগরহাওলায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে তার স্বামী এফএইচ প্রিয়ক ও মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ীর মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়।

তবে তিনি কিছুতেই তা বিশ্বাস করতে চাইছেন না।  

তিনি বলেছেন, আপনারা মিথ্যা বলছেন। ওরা আছে। না হলে তাদের দেখান।

ছেলে ও নাতনি তামাররার শোকে বিহ্বল প্রিয়কের মা।  ছবি: বাংলানিউজ

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত প্রিয়কের মামাতো ভাই সানি আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, বাড়িতে পৌঁছানোর প্রায় ২০ মিনিট পর অ্যানিকে তার স্বামী ও মেয়ের নিহতের খবর জানান তার  বান্ধবী রাবেয়া আক্তার রাবু।  

‘কিন্তু অ্যানি তার স্বামী সন্তান নিহত হয়েছে তা বিশ্বাস করেনি। এক পর্যায়ে তিনি তার স্বামী সন্তানের মরদেহ দেখতে চান। ’

আরও পড়ুন>>
** 
ফ্লাইট বিএস২১১: হাসপাতাল ছাড়লেন অ্যানি

এর আগে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন অ্যানি। সঙ্গে তার স্বজনরা ছিলেন।  

জানা গেছে, দুর্ঘটনায় আহত অ্যানির দেবর মেহেদী হাসান জানাজায় অংশ নিতে আর্মি স্টেডিয়াম গেছেন। সেখানে কাঠমান্ডু থেকে তার ভাই এফএইচ প্রিয়ক ও ভাতিজি তামাররা প্রিয়ন্ময়ীর মরদেহ আনা হয়েছে।  

সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি নগরহাওলায় নিয়ে যাওয়া হবে।   

ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে বলেন, অ্যানির স্বজনরা আমাদের জানিয়েছেন- তার শরীর যেহেতু ভালোর দিকে, তাই বাড়িতে নিয়ে তার স্বামী ও মেয়ের নিহতের বিষয়টি জানাতে চাই।  আমরাও আর না করিনি।  

এর আগে গত ১৬ মার্চ কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যানি, তার দেবর মেহেদী হাসান এবং তার স্ত্রী সৈয়দ কামরুন নাহার স্বর্ণাকে ঢাকায় আনা হয়।  

এরপর থেকে তারা ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।  

গত ১২ মার্চ স্বামীসন্তানসহ একই পরিবারের ৫ সদস্য মিলে নেপাল ঘুরতে গিয়েছিলেন। ওইদিন প্লেনটি অবতরণের সময় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে যায় তাদের বহনকারী ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইটটি।

এতে ৭১জন আরোহীর সবাই হতাহত হন। নিহত হন ৫০জন; যাদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ২৬জন। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩ জন যাত্রীর মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
আরএইচ/এজেডএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।