ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আজীবন মানুষের কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
আজীবন মানুষের কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের কথা বলেছেন। এজন্য তাকে জীবনভর নানা বঞ্চনা সইতে হয়েছে। বারবার মামলায় গ্রেফতার হয়ে বেশির ভাগ জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। 

রোববার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বারবার মানুষের কথা বলতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে জাতির পিতাকে।

কারাগারে বসেও তিনি মানুষের জন্য আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। ছাপ্পান্ন সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, তখনই বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়। এটা বঙ্গবন্ধুই দিয়ে গেছেন। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই এই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ধুব্ধ করেছেন তিনি।  

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, তৎকালীন পূর্ব বাংলার নাম যখন পূর্ব পাকিস্তান করা হয়, তখনও বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রতি মুহূর্ত এ দেশের মানুষের দাবি ধাওয়া নিয়ে কথা বলে গেছেন তিনি। আর এর জন্যই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।  

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বরেন, আমাদের এখানে কাগজ তৈরি হতো, পাট উৎপাদন হতো কিন্তু এখানকার মানুষকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে এসব থেকে উৎপাদিত পণ্য। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানে তা ছিল খুবই অল্প দামে।  

‘বঙ্গবন্ধু দিনের পর দিন বঞ্চনার এই কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতেন। এখানকার অনেক নেতাকে দেখেছি মন্ত্রিত্ব পাওয়ার লোভে পড়ে যেতেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু কোনো লোভে পড়েননি। বাবা-মা তাকে আদর করে ডাকতেন খোকা। আমার দাদি আমাদের বলতেন- তার বাবা নাকি তাকে বলেছিলেন তোমার ছেলের নাম শেখ মুজিবুর রহমান; দেখো একদিন জগত জুড়ে নাম হবে তার। ’

১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-হিন্দুস্তান যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই যুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব বাংলা অরক্ষিত হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু এটা নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর কদিন পর তিনি ছয় দফা ঘোষণা করেন। যা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ।

আরও পড়ুন>>
** 
বেসরকারি মেডিকেলে মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ 

‘বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করতে এবং দলকে সংগঠিত করতে জাতির পিতা জেলায় জেলায় যেতেন।  যে জেলায় যেতেন সে জেলায়-ই তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হতো, সেখানেই গ্রেফতার। এই মুক্তি এই গ্রেফতার। এভাবে তাকে মামলা ও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপর ঊনসত্তরে তার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেওয়া হয়,’ বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তখন দলের এতো আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। আমার মা চাদর সেলাই করে নেতা-কর্মীদের বসার ব্যবস্থা করে দিতেন। আর তাদের জন্য রান্না করে খাওয়া-ধাওয়ার ব্যবস্থা করতেন তিনি। আমরাও প্লেট ধোয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করেছি।  

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় অন্যদের মধ্যে দলের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শিল্পী হাশেম খান, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমদু এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।