ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ বলছে বন্দুকযুদ্ধ, স্বজনদের দাবি ডেকে নিয়ে হত্যা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
পুলিশ বলছে বন্দুকযুদ্ধ, স্বজনদের দাবি ডেকে নিয়ে হত্যা

ফেনী: ফেনীর ফুলগাজীতে কাজী এমরান হোসেন সাইফুল নামে এক ইট ভাটার মাটির ব্যবসায়ী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তবে, নিহতের স্বজনদের দাবি সাইফুলকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। 

শনিবার (১৭ মার্চ) সকালে জেলার ফুলগাজীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের কাঁচারি বাজার এলাকার মো. হানিফের ছেলে।

 

পুলিশ জানায়, সাইফুল একাধিক মামলার আসামি। শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেলে তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালায়। সে সময় জিএমহাট এলাকায় আসামি সাইফুলকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের ওপর হামলা করে তিনি পালিয়ে যান। ওই হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে। পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে সাইফুলকে গ্রেফতার করে। রাতেই তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।

এসময় জিএমহাট ব্রিকফিল্ডের কাছে গেছে সাইফুলের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্তে পাল্টা গুলি চালালে সাইফুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এসময় আহত হয় পুলিশের নয় সদস্য। পরে সেখান থেকে একটি এলজি বন্দুক, কার্তুজ, একাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পরে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেলা সদর হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা ফেনী জেলা সদর হাসপাতাল ও ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, জিএমহাট এলাকায় ইটভাটার মাটি সরবরাহ নিয়ে একটি প্রভাবশালী পক্ষের সঙ্গে মাটি ব্যবসায়ী সাইফুলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। ওই ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের মদতে পুলিশ তাকে শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে গুলি করে হত্যা করে তার মরদেহ শনিবার ভোরে হাসপাতালের মর্গে রেখে যায়।  

নিহতের সঙ্গে আহত ইউনুস সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে ভোরে তাদের গামছা বেঁধে নিয়ে যায় এবং গুলি করে। একই ধরনের কথা বলেন আরেক আহত কাজী এমদাদুল হক সোহেল।

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, একাধিক মামলার আসামি সাইফুলকে ধরতে গেলে পুলিশ কনস্টেবল আবুল খায়েরকে কুপিয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় জড়িত আসামিদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর এলাকা থেকে অস্ত্রসহ সাইফুলকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে তার অপর দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়। রাতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে ফুলগাজীর জিএম এলাকার একটি ইটভাটার পাশে উৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় আটকরা পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাইফুল, ইউনুস ও সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সাইফুল মারা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮ 
এসএইচডি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad