ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোববার নিহতদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
রোববার নিহতদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী রোববার (১৮ মার্চ) থেকে। এজন্য বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস থেকে ইতোমধ্যে নেপালে নিহতদের আঙ্গুলের ছাপ পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে নিহতদের, তারপর ঘড়ি-গহনা ইত্যাদি দিয়ে চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপরও চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে।

শনিবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, আজকে মধ্যে সর্বমোট ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ শুরু হবে রোববার থেকে। শনাক্তকরণের কাজ শেষ হলেই নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে ফেরত দেওয়া হবে।

আহত বাকি পাঁচজন বাংলাদেশিদের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, আজকে রুবাইয়াত রশিদ নামে একজন বাংলাদেশে আসবেন এবং ঢামেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হবেন। আরো বাকি দু’জন কবির হোসেন ও শাহিন বেপারী আসবেন রোববার। তাদের সঙ্গে আমাদের পাঠানো মেডিকেল টিমের একজন চিকিৎসক আসবেন কেননা রোগী দু’জনের হাড় ভাঙার মাধ্যমে অর্থোপেডিক সমস্যা রয়েছে। এছাড়া বাকি দু’জনের মধ্যে একজন ইমরানা কবিরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দিল্লিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। ইমরানার শ্বাসনালিসহ প্রায় ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। এছাড়া ইয়াকুব নামে আরেকজন নেপালে চিকিৎসারত অবস্থায় থাকবেন। সেখানে আমাদের পাঠানো মেডিকেল টিমের একজন চিকিৎসক থাকবেন এবং বাকি সবাই বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।

বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, আহতরা যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত। চিকিৎসা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিচালিত হচ্ছে এবং উন্নত মানের চিকিৎসার লক্ষ্যে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রোগীরা আশঙ্কামুক্ত তবে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই মেডিকেল বোর্ডে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রাখা হয়েছে। যারা শনিবার (১৭ মার্চ) সকালে রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে গেছেন এবং রোগীরা আশঙ্কামুক্ত তিনি বিষয়ে আশ্বস্ত করে গেছেন। রোগীরা সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বোর্ড সক্রিয় থাকবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আহতরা তাদের কাছের আত্মীয়দের নিহতের খবর জানেন না। তাই খবরে বিস্তারিত প্রকাশ না করার অনুরোধ করছি। কেননা তারা খবরের মাধ্যমে তথ্যটি জানলে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন এবং চিকিৎসা ব্যাহত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হোসাইন, ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
এমএএম/এজেডএস/এএটি

দেশে ফিরছেন রাশেদ, নেওয়া হবে ঢামেকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।