ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দুর্ঘটনার শঙ্কা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৮
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দুর্ঘটনার শঙ্কা মূল চালকের পরিবর্তে অদক্ষ চালক দিয়ে ফেরি চালানোর কারণে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে

মুন্সিগঞ্জ: দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারিপুরের কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচলে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। ৯ কি.মি. দূরত্বের এক ঘণ্টার এই নৌপথে ফেরি চলাচলের চ্যানেলটি অত্যন্ত সরু বলে একাধিক ফেরি একসঙ্গে চলতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

তার ওপর মূল চালকের পরিবর্তে চালকের সহকারি অদক্ষ চালক দিয়ে ফেরি চালানোর কারণে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা আতংকিত।

যাত্রী ও ফেরি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, এ অবস্থা চলতে থাকেল যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  

এই নৌরুটের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নৌপথটি সরু হওয়ায় ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে। প্রায়ই একটি ফেরির সঙ্গে আরেকটি ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে আতংকে থাকতে হয়। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী গাড়িগুলো পার্কিং করে ফেরিতে না রাখায় গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্যদিকে চ্যানেলের যতটুকু অংশ ড্রেজিং করা হয় তার বাহিরে নৌযান চললে আটকে পড়ে।  

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শরোজিৎ কুমার বংলানিউজকে জানান, রো রো ফেরিগুলো পাশাপাশি যেতে পারে না। রো রো ফেরিগুলোর মধ্যে প্রায়ই ধাক্কা লাগে। মূল চালক কখনো থাকে আবার থাকে না, কে কখন থাকে এই বিষয়টি বিআইডব্লিউটিসি’র বিষয়। বাসের চালক না থাকলে মাঝে-মাঝে যেমন হেলপার মূল চালকের দায়িত্বে থাকে, বিষয়টি এমনই।  

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. খালেদ নেওয়াজ বংলানিউজকে জানান, চ্যানেল সরু হওয়াতে একটি ফেরির সঙ্গে আরেকটি ফেরির ধাক্কা লাগে, সংঘর্ষ হয়। ফেরি চালকদের নৌপথের চ্যানেল দিয়ে সতকর্তার সঙ্গে চলাচল করতে হয়। সরু চ্যানেলের মুখে প্রায়ই ফেরিগুলো যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে অপেক্ষা করে। বর্তমানে নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে ডাম্প ফেরি ৫টি, রো রো ফেরি ৩টি, কে-টাইপ ৪টি, মিডিয়াম-২টি এবং ছোট একটি ফেরি রয়েছে।  

বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বংলানিউজকে জানান, নাব্যতা সংকট নেই নৌপথে। ফেরি চলাচলের জন্য ৯ ফুট গভীরতা প্রয়োজন বর্তমানে তার থেকে বেশি আছে। চালকরা স্বাভাবিকভাবেই ফেরি চালাচ্ছেন। ফেরি চালাতে কোনো সমস্যা নেই।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার শাহজাহান বংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ ৯ কি.মি. সরু নৌরুটিতে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনার পাশাপাশি দুই ফেরির সংঘর্ষ ও ধাক্কা লাগার ঘটনাও ঘটছে। সরু এই চ্যানেল দিয়ে ফেরি, লঞ্চ, ট্রলার ও সি-বোটসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একটি ফেরিকে সাইড দিতে গিয়ে প্রায়ই নাব্যতা সংকট প্রবণ এলাকায় চলে যায়।

বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (শিমুলিয়া ঘাট) সাইদুর রহমান বংলানিউজকে জানান, নৌ-পথটি সরু হলেও ২০০ ফিট জায়গা রয়েছে চলাচলের জন্য। পাশাপাশি তিনটি ফেরি চলাচল করলেও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। প্রায় ৪০ ফিট প্রস্থের বেশি কোনো ফেরি এই নৌ-রুটে চলাচল করে না। এমন পরিস্থিতিতে যদি তারা ফেরি চালাতে না পারেন, তাহলে এটাকে অদক্ষতা বলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এসএম/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।