ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অর্থ হাতিয়ে বিদেশে পলাতক ইউনিপেটুইউ'র মালিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
অর্থ হাতিয়ে বিদেশে পলাতক ইউনিপেটুইউ'র মালিক ব্রিফ করছেন মোল্যা নজরুল ইসলাম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ইউনিপেটুইউ ফের আলোচনায়। অস্বাভাবিক লেনদেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সম্প্রতি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইউনিপেটুইউ'র দুই কর্মকর্তা এবং দুই এজেন্টের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫১ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায় সিআইডি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (৭ মার্চ) শাহবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় (মামলা নম্বর-১৬) ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- ইকবাল আলী, দেওয়ান মো. মঞ্জুর কবীর, এ এস এম জিয়াউল হক ও মিলন হাসান।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা চারজনের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে ইকবালের অ্যাকাউন্টে ৮৮ লাখ এবং প্রেস্টিজ নামে আরেক অ্যাকাউন্টে ২২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। বাকি টাকা কোথায় কীভাবে সরানো হয়েছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পরবর্তী তদন্ত অনুযায়ী জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি ইউনিপেটুইউ'র মালিক বিদেশে পলাতক রয়েছেন। এর আগে এ প্রতারণার বিষয়টি দুদক তদন্ত করছিল। আমরা গত ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করি।

কোম্পানিটির প্রতারণার ধরন প্রসঙ্গে মোল্যা নজরুল বলেন, তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বলতো, সেই টাকা দিয়ে সমপরিমাণ মূল্যের স্বর্ণ কেনা হচ্ছে মালয়েশিয়ায়। টাকা জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে স্বর্ণের পরিমাণও দেখাতো। ১০ মাস পর সেই স্বর্ণ বিক্রি করলে গ্রাহকের টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় কোম্পানিটি।

গ্রেফতার চারজন ঢাকা, ঝিনাইদহ, যশোর এলাকার প্রায় এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা সেসব অর্থ ইউনিপেটুইউ'র প্রধান কার্যালয়ে জমা দিয়ে দিয়েছে বলে জানায়। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো।

অন্য এমএলএম কোম্পানির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে মোল্যা নজরুল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেই এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থ লেনদেন অবৈধ। কোনো অবৈধ কোম্পানির সঙ্গে লেনদেনের অভিযোগ পেলে সিআইডি তদন্ত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad