ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তদন্ত রিপোর্টের পর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
তদন্ত রিপোর্টের পর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সিলেটে মাদকবিরোধী সমাবেশে আইজিপি-ছবি-বাংলানিউজ

সিলেট: ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ লাইন্স মাঠে সিলেট জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন আইজিপি।  

তিনি বলেন, ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।

তদন্ত রিপোর্ট পেলে তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠেছে ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিন সপ্তাহ কারাভোগের পর মরিয়ম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নতুন করে তাকে মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে মরিয়মের পরিবার।

আইজিপি সমাবেশে বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অন্তরায়। আমরা ১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের রুখে দিতে পেরেছি। এখন মাদকের আগ্রাসন থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে। সে স্বপ্ন অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগে প্রয়োজন নিরাপদ বাংলাদেশ গড়া।  

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রথম শর্ত নিরাপদ বাংলাদেশ গড়া। পুলিশের শ্রমে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।  

আতিয়া মহলে জঙ্গিবাদ নির্মূলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) উচ্চ পর্যায়ের এক গোয়েন্দা সদস্য ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে জঙ্গিবাদ নির্মূলে ১৭ পুলিশ প্রাণ দিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ সহস্রাধিক। যাদের অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।  

তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে গত ৯ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে স্বল্পতাও আছে। সিলেটে ১ কোটি মানুষের বিপরীতে পুলিশের সংখ্যা সব মিলিয়ে ১০ হাজারও নেই। হাজারের উপরে নাগরিকের বিপরীতে মাত্র একজন পুলিশ। তারপরও প্রধানমন্ত্রী যে জনবল দিয়েছেন বা ভবিষ্যতে আরও দেবেন, তা দিয়ে কিছুটা হলেও স্বল্পতা মেটানো যাবে।  

সিলেট রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে ও জেলার এসপি মো. মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আযম খান, সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. লুৎফুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি অধ্যাপক বিজিত কুমার দে।  
 
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-সুনামগঞ্জেরর দোয়ারাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরপ্রতীক ইদ্রিছ আলী, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, মৌলভীবাজারের শান্তিপদ ঘোষ, বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়াসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও সিলেটের চার জেলার কমিউনিটি পুলিশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
এনইউ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।