ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকে একযোগে কাজ করতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকে একযোগে কাজ করতে হবে সভা বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া

ঢাকা: সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরে সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু: মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশ ও বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ মঞ্চ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে একত্রিত করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং তারই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হতে শুরু করে। ৭৫’র পরবর্তী সময়ে জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ইউনেস্কো এ ভাষণকে বিশ্বের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে- এটা বাঙালি জাতির জন্য গর্ব ও অহংকার।

তিনি আরও বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান নিজেকে কোনোদিন স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেন নি। অথচ তার দল তাকে ঘোষক বলে দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার ম্যান্ডেট বাঙালি জাতি একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণার কোনো কিছুই বাকী ছিল না। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এটাই ঐতিহাসিক সত্য। এসময় তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সংগঠনের সভাপতি  অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এনায়েত করিম, সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আল মামুন, সমাজসেবী সখিনা সিদ্দিক প্রমুখ।            

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
পিআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।