ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাঁশের তৈরি ভালোবাসার শহীদ মিনার

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
বাঁশের তৈরি ভালোবাসার শহীদ মিনার বাঁশ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা/ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: আজ একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এ দিনে সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতেরা বুকের রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষা বাংলাকে রক্ষা করেছিলেন। তাদের সেই জ্বালানো দীপশিখাই একাত্তরে অধিক উজ্জ্বল হয়ে রূপ নিয়েছিলো স্বাধীনতায়।

তাই যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতেই শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিম শ্রীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী তৈরি করেছে ‘বাঁশের শহীদ মিনার। ’

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের তৈরি ওই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

পশ্চিম শ্রীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩২৯জন। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা সাতজন। তারা হলেন- সুবর্ণা চক্রবর্তী (প্রধান শিক্ষিকা), রূপালী পাল, লাভী রায়, নিথেন্দ্র রায়, শিরিন আক্তার, স্বপ্না দেব, স্মৃতিরাণী সেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবর্ণা চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিথেন্দ্র রায় নিজ উদ্যোগে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে এ বাঁশের শহীদ মিনার তৈরি করেছেন। এ শহীদ মিনার তৈরি আগে আমরা দেয়ালের মধ্যে শহীদ মিনার অঙ্কন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম।

এলাকাবাসীকে উদ্ধুদ্ধ করতেই আমাদের এমন শহীদ মিনার নির্মাণ করা। স্থানীয় উদ্যোগে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মৌখিক নির্দেশনায় এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা রয়েছে বলেও জানান সুবর্ণা চক্রবর্তী।

সহকারী শিক্ষক নিথেন্দ্র রায় বলেন, এলাকাবাসীর কাছে থেকে আটটি বড়ুয়া বাঁশ এবং জাই বাঁশ সংগ্রহ করে তৈরি করা হয়েছে এ শহীদ মিনার। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তৈরি করা হয় এটি।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজম আলী বলেন, আমাদের পশ্চিম শ্রীমঙ্গল এলাকায় তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অভিভাবকদের মধ্যে জাতীয় দিবসগুলোর প্রতি তেমন সচেতনাও নেই। নিজ উদ্যোগে নানান উন্নয়নমূলক কাজ করছি। শিগগিরই এখানে স্থায়ী একটি শহীদ মিনারও নির্মিত হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের কোনো সরকারি বরাদ্দ আমাদের কাছে নেই। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমার প্রাথমিক স্কুলগুলোর উন্নয়ন কাজ করার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
বিবিবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad