ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিন

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাসেঁর সমালোচনার জবাবে তিনি ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস নতুন কিছু নয়, যুগ যুগ ধরে চলছে’ বলেও মন্তব্য করেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টায় সাম্প্রতিক ইতালি সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য শেষে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা, নিয়োগ, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তুলে ধরে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস, এটা কোনো নতুন কিছু না, এটা কিন্তু সব সময় যুগ যুগ ধরেই চলে এবং কখনও প্রচার হয় কখনও প্রচার হয় না, এটা হল বাস্তবতা।



প্রশ্নপত্র ফাঁসে মোবাইল ফোনসহ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন সমস্যা হয় গেছে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আর এ প্রযুক্তি আমাদের সুযোগও করে দেয়, আবার সমস্যাও তৈরি করে দেয়।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কোনো দিন ঠিক না। কিন্তু এজন্য মন্ত্রীকে গালি দিতে হবে, সচিবকে গালি দিতে হবে। তাকে চলে যেতে হবে। সচিব আর মন্ত্রী গিয়ে তো প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নাই।  

তিনি বলেন, যারা ফাঁস করেছে তাদের ধরিয়ে দেন, ব্যবস্থা নেব। আপনাদের তো সেখানে অনেক সোর্স আছে, ধরিয়ে দিন।

বিভিন্ন সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এটা কতদিন আগে ফাঁস হয়েছে সেটা বলতে পারেন? সাধারণত কতদিন আগে? কুড়ি মিনিট আগে?

তিনি বলেন, যখন প্রশ্নপত্র যায় হলে বা যে প্রতিষ্ঠানে, সে প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পরে সেগুলো খোলা হয় এবং সেটা বিতরণের জন্য সবকিছু খুলে রাখা হয়। এখন সেখানে যদি কেউ চট করে ফটো নিয়ে মোবাইল ফোনে সেটাকে ছড়িয়ে দেয়, সেটা আপনি কী করবেন?

শেখ হাসিনা বলেন, কুড়ি মিনিট আগে বা ধরলাম এক ঘণ্টা আগে যদি প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে বই খুলে উত্তর বের করা এবং মনে রেখে তা খাতায় লেখা!… এখানে এত ট্যালেন্ট, এমন ফটোজেনিক মেমোরি কার আছে।

তিনি বলেন, নৈব্যত্তিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে হয়তো কয়েকটা মনে রাখতে পারে। কিন্তু কয়টা মনে রাখবে। আর সেখানে কয়েক’শ প্রশ্ন থাকে, সেখান থেকে কয়েকটি প্রশ্ন আসে। এই সময়ের মধ্যে এত প্রশ্ন খুঁজে উত্তর বের করা! 

এবারের এসএসসি পরীক্ষা থেকে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে বসা বাধ্যতামূলক করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

নৈব্যত্তিক প্রশ্ন তুলে দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, টিক মার্ক বন্ধ করে দেবো। আপনারা লেখেন আমরা এটা বন্ধ করে দেবো।

একজন ফেরারি আসামিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করতে হলো?

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/আরআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।