ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুক্তিসঙ্গত সময়ে খালেদার রায়ের কপি পাওয়া যাবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
যুক্তিসঙ্গত সময়ে খালেদার রায়ের কপি পাওয়া যাবে

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের কপি যুক্তিসঙ্গত সময়ে পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ের কপি দেবেন আদালত। এ রায় ৬৩২ পৃষ্ঠার এটাও রাখতে হবে।

রায় দেওয়া হয়েছে কতোদিন হয়েছে। আদালত যুক্তিসঙ্গত সময়ে রায়ের কপি দেবে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটি-রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তির সাজা হওয়ার পর রায়ের কপি কখন পাবেন এ নিয়েও বিধিমালা আছে। শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে রায়ের সঙ্গে সঙ্গে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য রায়ের ক্ষেত্রে রায়টা কতো বড়, তার ধরন কী এসব বিষয় বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কপি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার রায় ৬৩২ পৃষ্ঠার। এই মামলায় সরকারের কোনো হাত নেই মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ বিচার করেছে। এ রায়ের বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত কথা না বলে বিএনপি নেতারা জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিতে চাইছেন। তাদের আইনজীবীরা রায়ের পর ডিভিশনের জন্য আবেদন করেন নি। যখন আবেদন করেছেন তখনই ডিভিশন দেওয়া হয়েছে।  

আনিসুল হক বলেন, সরকার আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করার তা করছে, করবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যে অপরাধী, যে অন্যায় করবে সে দলেরই যতো বড় নেতাই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে, তার বিচার হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলটির গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাক্ষর দিচ্ছেন তারা নিজেদের জানমালের হিসাব রাখবেন। তারা কিন্তু সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিচ্ছেন। ভেবে দেখবেন কোথায় স্বাক্ষর দিচ্ছেন। আপনার জানমাল নিয়ে যাচ্ছে কি-না তাও বিবেচনা করে দেখবেন।
 
এ সময় আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের নাম উল্লেখ না করে তার সমালোচনা করে বলেন, একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী রায়ের কপি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার নিয়ে তাকে সোচ্চার হতে দেখিনি। বঙ্গবন্ধু যাকে লালন পালন করেছিলেন তার হত্যার বিচারের ব্যাপারে তিনি সোচ্চার হন নি।  

আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ৭১ টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮ 
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।